সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এত সবুজ পিচ ‘কস্মিনকালে দেখেননি’ অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক! ঐতিহাসিক ভাবে টার্নার এসসিজি উইকেট-ও চরিত্র পাল্টে ফেলেছে ক্যাপ্টেন কুক-এর ইংল্যান্ডকে অ্যাসেজে হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্নে। কিন্তু অ্যালিস্টার কুক নারাজ এই কঠিন সময়েও তাঁর অধিনায়ক মানসিকতার চরিত্র পাল্টাতে।
শেন ওয়ার্ন তাঁকে ‘ট্যাক্টিক্যালি অযোগ্য’ বলে নিজের কলাম-এ তীব্র কটাক্ষ করলেও কুকের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের আগের দিন ব্যাখ্যা, “ওয়ার্ন চাইলেও আমার নিজেকে পাল্টানো অসম্ভব। আমি যেমন ছিলাম তেমনই থাকব। সবার পরামর্শ শুনতে গিয়ে নিজেকে ঘেঁটে ফেলার চেয়ে বরং নিজের কাছে সত্যি থাকাটাই ভাল।” এক বছর আগেই কুকের নেতৃত্বে ১৯৮৪-৮৫-র পর ইংল্যান্ড প্রথম বার ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল। ঘরের মাঠে গত অ্যাসেজে অস্ট্রেলিয়াকে একটা ম্যাচও জিততে দেয়নি কুকের ইংল্যান্ড, ৩৫ বছরের মধ্যে প্রথম বারের জন্য। সেই কুকের গলা ক্রিকেটপণ্ডিতদের গিলোটিনের নীচে এখন। |
বর্ষবরণ পার্টিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ছবি: রয়টার্স। |
“এত দীর্ঘ সফরে, এত বিশাল মিডিয়া কভারেজের সামনে পরের পর ম্যাচ হারলে লোকের মনে সেই দল সম্পর্কে বিরূপ ধারণা হবেই। তবে আমার কাছে হৃদয়বিদারক জিতলে লোকে যেমন আপনার মাত্রাছাড়া প্রশংসা করবে তেমনই হারলেও নিন্দেটা বাড়াবাড়ি পর্যায় হয়। নিজেকে একশো ভাগ সঠিক বলাটা ভুল। কিন্তু এই সিরিজে যে ভাবে নিজেকে চালনা করেছি তার জন্য আমি গর্বিত।” যেমন কুক শুক্রবার থেকে সিডনিতে শেষ টেস্টে তিন নতুন মুখকে একসঙ্গে নামিয়ে দিতে পারেন— ব্যাটসম্যান গ্যারি ব্যালান্স, লেগ স্পিনার-অলরাউন্ডার স্কট বর্থউইক এবং ফাস্ট বোলার বয়েড র্যানকিন। কিন্তু বেয়ারস্টোর কিপিং টেকনিক সমালোচিত হলেও এসিজি-তেও উইকেটের পিছনে তিনিই দাঁড়াবেন হয়তো।
তবে ক্লার্কও যে ৫-০ জিততে মরিয়া তা অস্ট্রেলিয়ার গেমপ্ল্যানিংয়ে পরিষ্কার। চার টেস্ট একই দল খেলিয়ে জেতার পর সিরিজে এই প্রথম অজিরা প্রথম একাদশে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। সিডনির অপ্রত্যাশিত ঘাসের পিচে একজন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান (সম্ভবত জর্জ বেইলি) বসিয়ে বাড়তি ফাস্ট বোলার জেমস ফকনারকে খেলাতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ক্লার্ক বলছেন, “সিরিজে নির্দিষ্ট এগারোজন মিলে দলকে ৪-০ এগিয়ে রাখাটা দারুণ রোমান্টিক। তবে তাতে সামান্য বদল ঘটিয়ে বিপক্ষকে ৫-০ হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে সেটাও একই রকমের রোমান্টিক হবে আমাদের কাছে।” |