উলটপুরাণ। লিয়ঁকে কোলে তুলতে হল জনসনকে। |
যার মধ্যে মাঝের ওভারে মাত্র এক রানের ব্যবধানে পড়ে তিনটে উইকেট, আর শেষ পাঁচ উইকেট পড়ে মাত্র ছ’রানের ব্যবধানে। কুক (৫১) এবং মাইকেল কারবেরি (১২) ওপেনিং জুটিতে ৬৫ তুললেও শেষ আট উইকেট পড়ে যায় ৯৩ রানে। প্রথম ইনিংসে ৭১ করা ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ স্কোরার কেভিন পিটারসেনও ফিরে যান ৪৯ রানে।
প্রথম তিনটে টেস্টে ইংল্যান্ডকে নাকানিচোবানি খাওয়ানো মিচেল জনসন নন, এ দিনের বিপর্যয়ের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান নাথান লিয়ঁর। অস্ট্রেলীয় অফস্পিনারের ৫-৫০ বোলিং হিসেবের মধ্যে ছিল তাঁর একশোতম টেস্ট উইকেটও। জনসনও এ দিন ২৫ রান দিয়ে তিনটে উইকেট তুলেছেন। সিরিজে তাঁর উইকেটসংখ্যা এখন ৩১। হাতে দু’দিন, অস্ট্রেলিয়ার দরকার ২৩১। তৃতীয় দিনের শেষে তারা ৩০-০। ক্রিজে রয়েছেন ক্রিস রজার্স (১৮ ব্যাটিং) এবং ডেভিড ওয়ার্নার (১২ ব্যাটিং)।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একশো উইকেট নেওয়া ষষ্ঠ অফস্পিনার লিয়ঁ ম্যাচের পর বলেন, “অ্যাসেজে এ রকম একটা মাইলফলক ছুঁতে পারা সত্যিই অসাধারণ। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “দ্বিতীয় ইনিংসে আমার বোলিং যে ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার দিকে ঘুরিয়ে দিল, ভেবে দারুণ লাগছে।” |