স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসনের হটসিট ছিল তাঁর স্বপ্নের সিংহাসন। কিন্তু দিনে দিনে মোয়েসের জন্য সেই সিংহাসন হয়ে উঠছে কাঁটার আসন।
নিউক্যাসল, এভার্টনের মতোই আবার ঘরের মাঠে মুখ থুবড়ে পড়ল মোয়েসের ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। যাদের প্রিমিয়ার লিগের লড়াইয়ে বুধবার রাতে ২-১ হারাল টটেনহ্যাম। যে ম্যাচে গোল করলেন এমানুয়েল আদেবায়োর ও ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন।
শুধু মাত্র তিন পয়েন্ট নষ্ট নয়। রেফারির বিরুদ্ধে তোপ দেগে আবার বিতর্কেও জড়িয়ে পড়লেন মোয়েস। তিন পয়েন্ট হারানোর জন্য ম্যাচ রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েবকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দিলেন মোয়েস। যাঁর বিরুদ্ধে ‘কলঙ্কিত সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার অভিযোগ আনলেন ম্যান ইউ কোচ। ঘটনাটা কী? দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি বক্সে অ্যাশলি ইয়ংকে ট্যাকল করেন টটেনহ্যাম গোলকিপার হুগো লোরিস। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড গ্যালারি থেকে তখন একটাই আওয়াজ শোনা যাচ্ছে- ‘পেনাল্টি, পেনাল্টি’। পেনাল্টি না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অবশ্য অনড় থাকেন ওয়েব। আর তাতেই যাবতীয় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। টিভি পর্দার রিপ্লেতে দেখা যায় যে লোরিস ল্যাং মেরেছেন ইয়ংকে। |
ধাবমান মোয়েস। চতুর্থ রেফারির দিকে। ছবি: রয়টার্স। |
ম্যাচ শেষে ওয়েবের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ক্ষুব্ধ মোয়েস বলেন, “সিদ্ধান্তটা খুব খারাপ ছিল। কলঙ্কিত বলা যেতে পারে। বিশ্বের যে কোনও জায়গায় গোলকিপার পেনাল্টি বক্সে ফাউল করলে তার লাল কার্ড ও পেনাল্টি অনিবার্য।” শুধু এখানেই থেমে থাকেননি মোয়েস। বিশ্বের অন্যতম সফল রেফারির সিদ্ধান্তকে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্কটিশ ম্যানেজার যোগ করেন, “প্রিমিয়ার লিগেও এত বাজে সিদ্ধান্ত নিতে আমি কোনও রেফারিকে আগে দেখিনি। ইয়ংয়ের পায়ে বল ছিল। গোলকিপার তারপর এসে ওকে ল্যাং মারল। এটা পেনাল্টি না দিলে মরসুমে আর কোনও পেনাল্টি সিদ্ধান্ত আমাদের ভাগ্যে জুটবে না।” অভিযোগের তালিকায় শুধু পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নয়। ম্যান ইউর তরুণ তারকা আদনান জানুজাজকে ‘ডাইভ’ দেওয়ার অপরাধে হলুদ কার্ড দেখানোর জন্যও ওয়েবকে তীব্র কটাক্ষ করেন। বলেন, “আপনারা দেখলেন জানুজাজকে হলুদ কার্ড দিল ওয়েব। সবাই দেখতে পেল টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার ড্যানি রোস ধাক্কা মারল ওকে। ওটাও খুব খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল।” |
মোরিনহোর শরীরীভাষাতেই পরিষ্কার তাঁর মেজাজ। ছবি: এএফপি। |
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আবার হারতে হলেও দলের খেলায় তিনি নাকি সন্তুষ্ট! মোয়েস বলেন, “হারলেও আমার দল ভাল খেলেছে। এই ম্যাচ অন্তত ড্র করতে পারতাম আমরা। কিন্তু কী আর করা যাবে।” এই হারের পর ম্যাঞ্চেস্টার এখন লিগ তালিকায় সাত নম্বরে।
পাশাপাশি মোয়েসের মতো আবার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন চেলসি কোচ হোসে মোরিনহো। কিন্তু রেফারির সঙ্গে নয়, দলের ফুটবলারের সঙ্গে। সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে দলের তারকা ফুটবলার খুয়ান মাতার পরিবর্তে অস্কারকে নামান মোরিনহো। মাঠ থেকে তুলে নেওয়ায় ডাগআউটে গিয়ে ম্যানেজারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাতা। এমনকী রিজার্ভ বেঞ্চের সিটে লাথিও মারেন। জলের বোতল ছুড়ে ফেলে দেন। ম্যাচ শেষে মোরিনহো বলেন, “মাতা রেগে গেলে কিছু করার নেই। আমার কাছে দল আগে।” যদিও সাউদাম্পটনকে ৩-০ হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেতাব জয়ের লড়াইয়ে টিকে থাকল চেলসি। |