লিভারপুলকে টপকে প্রিমিয়ার লিগের হারানো শীর্ষস্থান আবার দখল করার লক্ষ্যে নেমেছিল আর্সেনাল। টানা ন’বার চেলসিকে হারাতে না পারার রেকর্ড ভাঙাও ছিল আর্সেন ওয়েঙ্গারের টিমের উদ্দেশ্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ড্র হল। তার আগে অবশ্য নাটক কম হল না।
লড়াইটা ছিল দু’নম্বর বনাম চার নম্বরের। হোসে মোরিনহো বনাম আর্সেন ওয়েঙ্গারের ধুন্ধুমার ট্যাকটিক্সের। এমিরেটস স্টেডিয়ামে বৃষ্টিভেজা রাতে এক সময় আগুন জ্বলবে ভেবেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু সে রকম কিছু হল কোথায়?
ঘরের মাঠে টানা দশ বার মোরিনহোর চেলসির কাছে জয় পেল না আর্সেনাল। প্রধমার্ধে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের শট ক্রসবারে লেগে ফিরল। ম্যাচ শেষ হওয়ার ক’য়েক মিনিট আগে আর্সেনালের অলিভিয়ের জিরোউদের গোলমুখী শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হল। আর্সেনালের সমর্থকদের গ্যালারি থেকে ‘বোরিং, বোরিং চেলসি’ চিৎকার, গোটা দুই কড়া ট্যাকলও হল। গোলটা অবশ্য হল না। |
ম্যাচের পর ওয়েঙ্গার বনাম মোরিনহোর বাগযুদ্ধ ছিল যথারীতি। প্রথমার্ধে উইলিয়ান যে ভাবে চ্যালেঞ্জ করেন থিও ওয়ালকটকে তাতে কি আর্সেনালের পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল? “একশো শতাংশ পেনাল্টি। আমার তাতে কোনও সন্দেহ নেই,” ম্যাচের পর বলেন ওয়েঙ্গার। তাতে পাল্টা মোরিনহোর উত্তর, “ওদের এ ভাবে কান্নাকাটি করারই ঐতিহ্য।” এখানেই থামেননি ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’। তিনি আরও যোগ করেন, “ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের মতো ইংরেজ ফুটবলার কখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার মতো কিছু করে না। কিন্তু অন্য দেশ থেকে খেলতে আসা ফুটবলারদের এটা রক্তে আছে।”
মাইকেল আরাতাকে কড়া ট্যাকল নিয়েও জন ওবি মিকেলের পাশে দাঁড়ান মোরিনহো, “ফুটবলে এ রকম ট্যাকল হয়েই থাকে। বিশেষ করে ইংলিশ ফুটবলে। বৃষ্টিতে মাঠ ভিজে থাকায় দুর্দান্ত গতিতে সাইড ট্যাকল হতেই পারে। আমি তো বরং গর্বিত ট্যাকেলটায়।”
তবে আর্সেনালের এ রকম গুটিয়ে থাকা ফুটবলের সবচেয়ে বড় কারণটা বোধহয় বলে দিলেন ওয়েঙ্গারই, “আগের ম্যাচে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে ছ’গোল খাওয়ার ধাক্কাটাই শুরু থেকে আমাদের তাড়া করে বেরিয়েছে।” সেই ধাক্কা থেকে বেরোতে পারলেন না মেসুট ওজিলরা। শীর্ষে থাকা লিভারপুলকে (১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট) না সরাতে পেরে সমসংখ্যক ম্যাচে একই পয়েন্ট থাকলেও গোলপার্থক্যে দ্বিতীয় স্থানেই তাই এখন আর্সেনাল। তৃতীয় ম্যান সিটি (১৭ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট)। ১৭ ম্যাচ খেলে আর্সেনালের থেকে দু’পয়েন্ট পিছনে চর্তুথ স্থানে চেলসি। |