রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে শততম ম্যাচ খেলার পর অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন এখন পাখির চোখ করছেন রঞ্জি ট্রফি জয়কেই। মঙ্গলবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক তাঁবুতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসে বললেন, “লক্ষ্য এখন বাংলাকে রঞ্জি ট্রফি দেওয়া। দু’বার ফাইনালে উঠে হারাটা আজও বড্ড তাড়া করে।”
কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে গেলে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে চাই সাত পয়েন্ট। উরকেরি ভেঙ্কটরমনের দলের বিরুদ্ধে সাত পয়েন্ট আসবে? যিনি গত মরসুমেও কোচিং করিয়েছেন বাংলায়। জানেন লক্ষ্মীদের খুঁটিনাটি। লক্ষ্মীর সোজাসাপটা উত্তর, “মোদ্দা কথাটা তো চেন্নাইয়ে বাইশ গজে গিয়ে পারফর্ম করতে হবে। সেটাতেই ফোকাস করছি!” আর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন? “বাংলার হয়ে সেরাটা করতে চাই। জাতীয় দলে ঢোকার ব্যাপার নির্বাচকদের হাতে।” |
রঞ্জিতে বাংলার হয়ে মাঠে নামায় লক্ষ্মীর পরেই উৎপল চট্টোপাধ্যায় (৯৫ ম্যাচ) এবং সৌরাশিস লাহিড়ী (৭৫ ম্যাচ)। সিএবি এবং পরিবারই বাংলা অধিনায়কের একশো ম্যাচ খেলার অনুপ্রেরণা। দলে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, অভিমন্যু ঈশ্বরণের মতো জুনিয়রদের মোটিভেট করার মন্ত্রটাও লক্ষ্মীরতনের কাছে অন্যদের থেকে আলাদা। বললেন, “বাংলার হয়ে খেলার চেয়ে বড় মোটিভেশন আর কি হতে পারে? যে রাজ্য দলের হয়ে মাঠে নামতে গিয়ে উদ্বুদ্ধ হয় না, তার সামনে গাওস্কর, তেন্ডুলকর এলেও কিছু হবে না।”
অধিনায়কত্বের ব্যাপারে মূল্যায়ন, “ক্যাপ্টেন দল বানায়। আর দল তৈরি করে ক্যাপ্টেন।” একই সঙ্গে জানিয়ে গেলেন, ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে। তবে রাজনীতি আপাতত দূরে। লক্ষ্মীর মাথায় এখন একটাই অঙ্ক। সেটা হল বাংলাকে তৃতীয় বার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন করা।
|
বাংলার আশা বাড়ছে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রঞ্জি ট্রফির শেষ পর্ব যত এগোচ্ছে, তত কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার আশা বাড়ছে বাংলার। চেন্নাইয়ে ৩০ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর সঙ্গে গ্রুপের শেষ ম্যাচ বাংলার। বাংলার পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ১৮। রাজস্থানের (এখন ৩০৭-৪) বিরুদ্ধে চলতি রঞ্জি ম্যাচে তামিলনাড়ু (৩১৮) জিতে গেলে বা তিন পয়েন্ট পেয়ে গেলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা প্রবল কঠিন হত বাংলার। কিন্তু চরম অঘটন না ঘটলে তামিলনাড়ু এক পয়েন্টই পাচ্ছে। তখন বাংলা-তামিলনাড়ুর পয়েন্ট দাঁড়াবে সমান। অর্থাৎ, চেন্নাইয়ে শেষ ম্যাচে যারা জিতবে বা প্রথম ইনিংস লিড পাবে, তাদেরই কোয়ার্টারে যাওয়ার সম্ভাবনা। বাংলা তখন তাদের পুরনো কোচের টিমকে হারাতে পারে কি না, সেটাই দেখার। |