আইপিএল সেভেনের নতুন নিয়মকানুন শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ঘোষণা করে দিল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সর্বোচ্চ পাঁচ ক্রিকেটার রেখে দেওয়ার নিয়ম, তাঁদের দর নির্দিষ্ট করে দেওয়া, নিলামের দিন জানানোসবই হল। কিন্তু ‘জোকার কার্ড’ বা ‘রাইট টু ম্যাচ’ কার্ড আমদানি নিয়ে অসন্তোষও তৈরি হল কোনও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিতে।
জোকার বা রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যাপারটা কী? আইপিএল সেভেন থেকে যা চালু হচ্ছে? ধরা যাক, কোনও ফ্র্যাঞ্চইজি নিজেদের কোনও প্লেয়ারকে নিলামে তুলে দিল। বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সংশ্লিষ্ট সেই ক্রিকেটারকে পাওয়ার জন্য ‘বিড’-ও করল। এ বার ওই ক্রিকেটারের পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি চায়, তা হলে ‘বিড’-এ ওঠা সর্বোচ্চ দামে আবার ওই ক্রিকেটারকে কিনে নিতে পারবে অগ্রাধিকার পেয়ে। ‘জোকার কার্ড’ বা ‘রাইট টু ম্যাচ কার্ড’ ব্যবহার করে। বাকিরা নয়। তবে জোকার কার্ডের ধারণা নিয়ে নয়, বিতর্ক তৈরি হচ্ছে সংখ্যা নিয়ে। যে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা পাঁচ জন ক্রিকেটার ধরে রাখবে, তাদের হাতে থাকছে একটা কার্ড। আর যে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি একজন ক্রিকেটারকেও ধরে রাখবে না, তারা পাবে তিনটে কার্ড। যে সংখ্যা নিয়ে গণ্ডগোল।
কোনও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তার মনে হচ্ছে, এমন কার্ড আনা হল কিছু টিমকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার জন্য। বলা হচ্ছে, যারা একজন ক্রিকেটারকেও ধরে রাখবে না, তাদের ক্ষেত্রে জোকার কার্ড দু’টো না হলেও আরও একটা অন্তত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত ছিল। পাশাপাশি পাঁচ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে হলে কত করে দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে, সেটাও মঙ্গলবার জানিয়ে দিল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। প্রথম ক্রিকেটার ধরে রাখতে গেলে দিতে হবে সাড়ে বারো কোটি টাকা। দ্বিতীয় ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে খরচ সাড়ে ন’কোটি। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ক্রিকেটারের জন্য দিতে হবে যথাক্রমে সাড়ে সাত কোটি, সাড়ে পাঁচ কোটি এবং চার কোটি। আর নিলামের দিন ১২ ফেব্রুয়ারি। যদি এক দিনে নিলাম-পর্ব না মেটে তা হলে ১৩ ফেব্রুয়ারিও নিলাম হবে।
ঘটনা হচ্ছে, বাকি সব কিছু নিশ্চয়তা পাওয়া গেলেও এখনও একটা ব্যাপার নিয়ে নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। আইপিলের জায়গা নিয়ে। যে সময় আইপিএল সাধারণত হয়, অর্থাৎ এপ্রিল-মে মাসে দেশে নির্বাচন আছে। ওই সময়ে দেশে আইপিএল ভারতে করা যাবে কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলার ব্যাপার ছিল। ডিসেম্বরের শেষাশেষি গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক ডাকারও কথা ছিল। কিন্তু সেই বৈঠক পিছিয়ে হবে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। শোনা যাচ্ছে, নির্বাচনের দিনক্ষণ না পাওয়া গেলে আইপিএলের স্থান নিয়ে কিছু ঠিক করা সম্ভব নয়। পরিবর্ত হিসেবে আপাতত ভেবে রাখা হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। |