বীরভদ্র জবাব দিলেন জেটলিকে,
রাহুলের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

৩১ ডিসেম্বর
হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আজ দিল্লিতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেছেন বীরভদ্র ও তাঁর স্ত্রী প্রতিভা। তার পরে একটি বিবৃতি দিয়ে ফের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বীরভদ্র। গত কাল বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি অভিযোগ করেন, এক বেসরকারি সংস্থার বিদ্যুৎ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ঘুষ নিয়েছেন বীরভদ্র। ওই গোষ্ঠীর অন্য সংস্থায় তাঁর স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে শেয়ারও দেওয়া হয়েছে। রাহুল গাঁধী দুর্নীতি দূর করতে সত্যিই আগ্রহী হলে তাঁকে বীরভদ্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানান জেটলি। বিষয়টি নিয়ে আরও সুর চড়িয়েছে বিজেপি। রাহুলের বাড়ির সামনে বীরভদ্রকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভও দেখিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চা। তাতে নেতৃত্ব দেন যুব মোর্চার সভাপতি অনুরাগ সিংহ ঠাকুর।
বীরভদ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের সপক্ষে গত কাল কিছু নথিপত্রও পেশ করেছিলেন জেটলি। তিনি সেগুলি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও সিবিআই প্রধান রঞ্জিত সিন্হাকে পাঠান। আজ সিবিআই জানিয়েছে, বীরভদ্রের বিরুদ্ধে আগেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছিল। তাতে এই অভিযোগগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেটলির চিঠি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এক সিবিআই কর্তা জানান, মুম্বইয়ের একটি ইস্পাত সংস্থার দফতর থেকে পাওয়া ডায়েরিতে ‘ভিবিএস’ নামের কাউকে দেওয়া টাকার অভিযোগের তদন্ত তাদের হাতে আছে। ইস্পাত মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকার সময়ে বীরভদ্রই টাকা নেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই বিষয়ে এখন প্রাথমিক তদন্ত করছে তারা। বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়টিও তদন্তের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে বীরভদ্র ও পরিবারের সদস্যদের জেরা করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি সিবিআই কর্তা।
গত কালই নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন বীরভদ্র। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আজ দিল্লিতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন তিনি ও প্রতিভা। পরে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই প্রকল্পটি হিমাচলপ্রদেশে বিজেপি জমানায় শুরু হয়। তাদের প্রকল্পের মেয়াদ চার বার বাড়িয়েছিল বিজেপি। বরং বীরভদ্রের সরকারই নিয়ম না মানায় ওই প্রকল্প খারিজ করে দেয়। অথচ বিজেপি এখন তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর অভিযোগ তুলছে।
নিজের বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগেরও জবাব দিয়েছেন বীরভদ্র। বিদ্যুৎ প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত সংস্থার মালিক ভাকামুল্লা চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে বীরভদ্র চেকে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ জেটলির। বীরভদ্র জানান, চন্দ্রশেখর পারিবারিক বন্ধু। তাঁর কাছ থেকে ঋণ হিসেবে টাকা নিয়েছেন। তা কিস্তিতে ফেরতও দিচ্ছেন। সে জন্য চন্দ্রশেখরকে কোনও বাড়তি সুবিধে দেয়নি তাঁর সরকার।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.