|
|
|
|
দেবযানী কাণ্ডে ভারতের পদক্ষেপে অবাক আমেরিকা
সংবাদ সংস্থা • ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি
২৯ ডিসেম্বর |
ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতার নিয়ে ভারতের কড়া অবস্থানের জেরে নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন প্রশাসনও।
দেবযানী কাণ্ডে ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন বিদেশ নীতির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই যথেষ্ট অবাক। তাঁরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না, নয়াদিল্লি এত কড়া বার্তা দিতে পারে!
মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, এখন এ বিষয়ে আন্তঃ-বিভাগীয় পুনর্বিবেচনা করতে চায় দেবযানীর ঘটনার তদন্তে নিযুক্ত বিভিন্ন সংস্থা। দেবযানী মামলার প্রক্রিয়ায় কোথায় কী কী ফাঁক থেকে গিয়েছে, তা-ই খতিয়ে দেখা হবে আবার। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, মার্কিন বিদেশ দফতর এবং মার্কিন বিচার বিভাগ এর মধ্যে রয়েছে।
মার্কিন প্রশাসন গোড়া থেকে বলে এসেছিল, দেবযানীর কোনও কূটনৈতিক রক্ষাকবচ নেই। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু খুব সম্প্রতি ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়, গ্রেফতারের সময় দেবযানীর পূর্ণ কূটনৈতিক রক্ষাকবচ ছিল। কারণ নিউ ইয়র্কে ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেলের পাশাপাশি ওই সময়ে দেবযানী রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতীয় দূতাবাসের কূটনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন। সেই পদমর্যাদার জেরে গ্রেফতারির সময় দেবযানীর রক্ষাকবচ ছিল। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসায় নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারতও। সব মিলিয়ে তাই নতুন করে ভাবতে বাধ্য হয়েছে আমেরিকাও।
সরাসরি না হলেও মার্কিন প্রশাসন পরোক্ষে স্বীকার করেছে, দেবযানীর ঘটনার মূল্যায়নে বিচারবিভাগীয় কিছু গলদ থেকে গিয়েছে। একটি সূত্রের খবর, তার জন্য বিদেশ দফতরের একটি দল দিন-রাত কাজ করছে। যে ভাবে দেবযানীর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়েছে, তাতে খুশি নয় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরও। বিশেষত এমন একটা সময়ে যখন পেন্টাগন চাইছে, এশীয় প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন ভাবে খতিয়ে দেখতে, সেই সমীকরণে ভারতের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের পাখির চোখ এখন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণের প্রকল্প। তাই এই অবস্থায় তারা চায় না নয়াদিল্লির সঙ্গে তিক্ততা বাড়ুক।
মার্কিন প্রশাসনের অনেকেই মনে করছেন, দেবযানীকে গ্রেফতারের আগে কেউ এক বারও ভেবে দেখেনি, এই ঘটনার জেরে পরবর্তীকালে কী কী হতে পারে।
এর আগেও বিভিন্ন মার্কিন বিমানবন্দরে বা আমেরিকায় সফররত অবস্থায় অনেক ভারতীয় কূটনীতিককে হেনস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সে সব ঘটনায় ভারতের প্রতিক্রিয়া দেখে মার্কিন বিদেশনীতি প্রণেতারা ভাবতে পারেননি, নয়াদিল্লি এতটা কড়া মনোভাব দেখাবে।
এর মধ্যেই মার্কিন দূতাবাস এবং কনসুলেটগুলোয় ভারতের কর্মীদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকাই হয়তো তার নিজস্ব আইন লঙ্ঘন করেছে এমন একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আমেরিকার উপরে চাপ বজায় রেখে নয়াদিল্লিতে আগামিকাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একটি বিশেষ দল এই ব্যাপারে আলোচনায় বসবে। আমেরিকার দূতাবাস ও কনসুলেটে ভারতীয় কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত সব তথ্য মার্কিন প্রশাসনকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল দিল্লির তরফে। অভিযোগ, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কোনও তথ্যই এখনও হাতে পায়নি। মার্কিন দূতাবাস সূত্রে খবর, বড়দিন ও নববর্ষের ছুটির কারণে ওই তথ্য দিতে পারেনি তারা। |
পুরনো খবর: রক্ষাকবচ ছিল দেবযানীর, দাবি করল ভারত |
|
|
|
|
|