|
|
|
|
রক্ষাকবচ ছিল দেবযানীর, দাবি করল ভারত
সংবাদ সংস্থা • ওয়াশিংটন
২৬ ডিসেম্বর |
আমেরিকার মাটিতে ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারি নিয়ে তৈরি নয়া বিতর্ক।
ভারত সরকারের একটি সূত্রের দাবি, গ্রেফতারের সময়ে পূর্ণ রক্ষাকবচ ছিল দেবযানীর। ফলে সে সময় তাঁকে গ্রেফতার করার কোনও অধিকার ছিল না মার্কিন পুলিশের। কিন্তু গত ১২ ডিসেম্বর মার্কিন প্রশাসন তা অস্বীকার করেই ভিসায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে প্রাক্তন ওই ডেপুটি কনসাল জেনারেলকে গ্রেফতার করেছিল। এবং তখন তারা দাবি করেছিল, দেবযানীর কূটনৈতিক রক্ষাকবচ নেই।
সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেল পদে থাকাকালীনই দেবযানীকে ২৬ অগস্ট থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতীয় দূতাবাসের পরামর্শদাতার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখনই রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশ ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে রক্ষাকবচ লাভ করেন দেবযানী। রাষ্ট্রপুঞ্জে তাঁর পদটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩ পর্যন্ত বৈধ। সরকারের ওই সূত্রটির দাবি, “ওই বিশেষ রক্ষাকবচ থাকার জন্যই দেবযানীর গ্রেফতার তাঁর পদমর্যাদার বিরোধী।” এই তথ্য সামনে আসার পরে ভারত বিষয়টি নিয়ে মার্কিন বিদেশ দফতরের সঙ্গে কথা বলতে চায়।
মার্কিন এক আইনজীবী জানান, খোবরাগাড়ের বিরুদ্ধে ভিসায় জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলা আমেরিকা তুলে নিতে পারে। জি ডগলাস জোনস নামে প্রাক্তন ওই অ্যাটর্নির দাবি, “এই ক্ষেত্রে ওই কূটনীতিকের পরিচারিকা শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হননি। কেবল কম বেতন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেটা বড় অপরাধ। তবে একে গুরুতর অপরাধ বলা যাবে না।”
খোবরাগাড়ের গ্রেফতার নিয়ে ভারত সরকারের তরফেও এই প্রতিক্রিয়াই জানানো হয়েছিল। কড়া বার্তা দিয়ে ভারত জানিয়েছিল, ভিসায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এত গুরুতর নয় যে দেবযানীকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমেরিকা ১৯৬৩-র ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
কিন্তু দেবযানীর বিরুদ্ধে কি মামলা প্রত্যাহার করতে পারে আমেরিকা? জবাবে জোনস বলেন, “সেটা অসম্ভব নয়। কিন্তু মামলা যে স্তরে রয়েছে, সেখান থেকে গোটা বিষয়টি গুটিয়ে ফেলা সহজ হবে না।” জোনসের মত, “ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় সংঘটিত অপরাধ নিয়ে অস্পষ্টতা আছে। সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারই এ বিষয়ে মতামত জানাতে পারে।”
|
পুরনো খবর: বড় ভুলে ধৃত দেবযানী, দাবি করলেন আইনজীবী |
|
|
|
|
|