|
|
|
|
এনএসজি প্রধান অসমের ডিজি জয়ন্তনারায়ণ চৌধুরী
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
২৬ ডিসেম্বর |
ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড (এনএসজি)-র নতুন প্রধান হচ্ছেন অসম পুলিশের ডিজি জয়ন্তনারায়ণ চৌধুরী। তবে যাওয়ার আগে রাজ্যের বিদায়ী ডিজিপি আজ বলেন, “অপরাধীদের শাস্তি হওয়ার ক্ষেত্রে অসমের স্থান এখন
দেশের মধ্যে সবার নীচে। সেই ব্যবস্থায় উন্নতি করতে হবে।” পাশাপাশি, আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে মাওবাদী জঙ্গি সমস্যা সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে তাঁর ধারণা।
|
ছবি: উজ্জ্বল দেব। |
অসম-মেঘালয় রাজ্যের আইপিএস ক্যাডার জয়ন্তবাবুর পিতা জিতেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ছিলেন সেনা অফিসার। মা প্রগতি বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির চণ্ডীতলার মেয়ে। দার্জিলিং, শিলং, অজমেঢ় থেকে স্কুলশিক্ষা শেষ করেন জয়ন্তবাবু। দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিক্স-এর পাট চোকাবার পরে, ১৯৭৮ সালে আইপিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। চাকরিজীবনের প্রথমদিকে, আশির দশকে অসমের লখিমপুর জেলায় এসপি হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি। তারপর থেকে জয়ন্তবাবু কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে অসমের পুলিশ প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে, জয়ন্তবাবু কলকাতায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অতিরিক্ত অধিকর্তা ছিলেন। তিন বছর আমেরিকাতেও নিযুক্ত ছিলেন তিনি।
নতুন দায়িত্বের খবর আসার পরে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে জয়ন্তবাবু জানান, কাজে যোগ দেওয়ার পরে এনএসজির হাল-হকিকৎ বুঝে নিয়ে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন। অসমের পুলিশি ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই রাজ্যে অপরাধীর শাস্তি হওয়ার হার দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। আমি আসার পরে, থানাগুলিতে তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুততর করার উপরে জোর দিয়েছি। সেই ধারা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” মহিলাদের সঙ্গে হওয়া অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে জয়ন্তবাবুর মত, “রাজ্যের ৫০% এই ধরনের মামলাই পারিবারিক কলহ সংক্রান্ত। এ ছাড়া অন্য ঘটনার পরিমাণ কিন্তু এই রাজ্যে কম। বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে, যেখানে শ্লীলতাহানি বা যৌন নিগ্রহের ঘটনায় মেয়েরা থানায় অভিযোগই জানাতে ভয় পায়, সেখানে অসমে এই ধরনের অভিযোগ জানাতে মেয়েরা অনেক বেশি সাহসী। তাই মামলা বেশি দায়ের হচ্ছে।” ডাইনি অপবাদে হত্যার ঘটনাও রাজ্যে ততটা ভয়াবহ আকার নেয়নি বলেই তাঁর মত। জয়ন্তবাবুর মতে, বেকারত্বের কারণেই রাজ্য থেকে নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা বাড়ছে।
রাজ্যের সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তাঁর মত, “গত ২০ বছরের তুলনায় বর্তমানে নাশকতার পরিমাণ অনেকটাই কম। তবে রাজ্য মোটেই নাশকতামুক্ত নয়। এনডিএফবির সংবিজিৎ গোষ্ঠী চিন্তার কারণ। সক্রিয় আলফাও।” তিনি জানান, “আলফা, নাগা জঙ্গি সংগঠন, গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ ও কামতাপুর লিবারেশন ফ্রন্টের মধ্যে অস্ত্র লেনদেন ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বোঝাপড়া রয়েছে।” তবে মাওবাদীদের সঙ্গে আলফার যোগাযোগের নির্দিষ্ট প্রমাণ হাতে আসেনি বলে জানিয়ে জয়ন্তবাবু বলেন, “আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে মাওবাদীদের দাপট বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” |
|
|
|
|
|