|
|
|
|
আসাম বিশ্ববিদ্যালয় |
আইন বিভাগের পরিকাঠামোয় ক্ষুব্ধ কাউন্সিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
২৬ ডিসেম্বর |
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের পরিকাঠামো দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করল ‘ন্যাশনাল বার কাউন্সিল’। তারা জানিয়েছে, ছ’মাসের মধ্যে উপযুক্ত সংখ্যক স্থায়ী শিক্ষক, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার-সহ কয়েকটি পরিকাঠামো না-গড়লে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে সেখানে আইনের স্নাতক কোর্সে ছাত্রভর্তির অনুমোদন মিলবে না। এর প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আইন বিভাগ পরিদর্শনের পর বার কাউন্সিলের ‘ইন্সপেকশন রিপোটর্’-এ বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কোর্সে আইন পড়ানোর জন্য মাত্র ৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, দর্শন ইত্যাদি ‘নন-ল’ বিষয়গুলি পড়ান অস্থায়ী শিক্ষকরা। বিভাগীয় গ্রন্থাগারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক নেই। প্রয়োজনীয় জার্নাল, বইপত্রও নেই বললেই চলে। সেগুলি শোধরানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ছ’মাস সময় দিয়েছে বার কাউন্সিল। তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, ২০১৪-১৫ বর্ষের ছাত্রভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে কাউন্সিলকে তার সূচনা দিতে হবে। তখন ফের প্রতিনিধিদল পাঠাবে তারা। কাউন্সিলের অনুমোদনের পরই শুরু হতে পারে ভর্তির প্রক্রিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজির্স্ট্রার অধ্যাপক নিরঞ্জন রায় জানান, বার কাউন্সিলের রিপোর্ট পেয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে এ নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আইন বিভাগের নন-ল বিষয়গুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের স্থায়ী শিক্ষকরা পড়াবেন। অন্যান্য বিষয়গুলি সুরাহার জন্য বিভাগীয় প্রধান আর আর মিশ্রকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ ‘স্কুল অব লিগ্যাল স্টাডিজ’-এর অন্তর্ভুক্ত। তার জন্য পৃথক ডিন রয়েছেন। তা না-জেনে কয়েকটি সুপারিশ করেছে বার কাউন্সিল। নিরঞ্জনবাবু আশাবাদী, আগামী বছর ভর্তি-প্রক্রিয়া শুরুর আগে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা যাবে। বার কাউন্সিলের অনুমোদন পেতে কোনও সমস্যা হবে না। ভর্তির প্রক্রিয়া যেন কোনও ভাবে ব্যাহত না হয়, সে দিকে তাঁরা সতর্ক নজর রাখছেন।
বিভাগীয় প্রধান মিশ্র জানিয়েছেন, এক মাস সময় দেওয়া হলেও ৭ ডিসেম্বরের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত তাঁকে এখনও জানানো হয়নি।
২০০৪ সালে পাঁচ বছরের কোর্সে আইন পড়ানো শুরু হয় আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৭ সালে ন্যাশনাল বার কাউন্সিল ৭ বছরের জন্য অস্থায়ী অনুমোদন দেয়। এ বছরই সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই আগামী বছর বার কাউন্সিলের নতুন অনুমোদন ছাড়া আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ছাত্রভর্তি করা যাবে না। |
|
|
|
|
|