|
|
|
|
বিচার ব্যবস্থায় মহিলাদের নিযুক্তিতে জোর বিতর্ক সভায়
উত্তম সাহা • শিলচর
২৬ ডিসেম্বর |
আদালতগুলিতে আরও মহিলা বিচারপতি নিলেই কি মহিলারা ন্যায়বিচার পাবেন? শিলচর উইমেন্স কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এই প্রশ্নে বিতর্কের ঝড় ছুটল। প্রশ্ন উঠল, স্বাধীনতার ৪২ বছর পর যে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে প্রথম মহিলা বিচারপতি নিযুক্ত হন, সে দেশে মহিলারা কতটা ন্যায়বিচার পেতে পারেন? কারও আবার পাল্টা প্রশ্ন, ইন্দিরা গাঁধী যখন দেশের প্রধানন্ত্রী ছিলেন, মহিলাদের নিরাপত্তা কতটা বেড়েছিল? ‘একমাত্র মহিলা বিচার ব্যবস্থাই মহিলাদের ন্যায়বিচার দিতে পারে’বিতর্কের এটাই ছিল বিষয়। বিষয়ের পক্ষে, বিতর্কের সূচনায় কাছাড় কলেজের শিক্ষক জয়দীপ বিশ্বাস বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থাই এখন লিঙ্গবৈষম্যের শিকার। উদাহরণ দেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র পাঁচ জন মহিলা বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছেন। দেশের হাইকোর্টে মহিলা বিচারপতির হার ৫.৮৪%। তাঁর বক্তব্য, মহিলাদের বিষয়গুলি মহিলারাই যদি ভাল বুঝতে পারেন, সে ক্ষেত্রে বিচারকের বেলায় কেন একই কথা প্রযোজ্য হবে না?
কাছাড় কলেজেরই শিক্ষক দেবাশিস চক্রবর্তী বিষয়ের বিপক্ষে বলতে গিয়ে জয়দীপকেই চ্যালেঞ্জ করেন, মহিলা বিচারপতি হলেই যদি মহিলারা ন্যায়বিচার পাবেন এমন ধরে নেওয়াটা সমস্যার অতি-সরলীকরণ। তাঁর বক্তব্য, “দেশে শাসক জোট ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী এবং বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ, সেখানে সার্বিক ভাবে নারীরা কতটা রাজনৈতিক ন্যায় পাচ্ছেন? তাঁর বক্তব্য, মহিলা বিচারপতির সংখ্যা বাড়লেই এ সংক্রান্ত অপরাধের হার কমবে না। প্রস্তাবের পক্ষে জাহির আলম জাকারিয়া বলেন, মানসিকতার পরিবর্তনই প্রয়োজন। বর্তমানে যে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় শিকড় গেড়ে রয়েছে, পরিবর্তন চাই তার। তাঁর প্রশ্ন, আইন পরীক্ষার ফলাফলে মহিলারা তো পিছিয়ে নেই, তবে কেন বিচারপতিদের প্রায় সবাই পুরুষ? তাঁকে সমর্থন করেন আইনজীবী দেবমিতা চক্রবর্তী। |
|
|
|
|
|