|
|
|
|
বড় ভুলে ধৃত দেবযানী, দাবি করলেন আইনজীবী |
সংবাদসংস্থা • নিউ ইয়র্ক
২৫ ডিসেম্বর |
পরিচারিকা নিয়োগের প্রসঙ্গ নিয়ে এ বার আলোচনা হবে দু’দেশের। ভারতের প্রাক্তন ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে নিয়ে ১৪ দিনের যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল, সেই জট কাটাতে এ দিন মার্কিন প্রশাসনের তরফে এই দাবি করা হয়েছে।
মার্কিন বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, “ভারতের সঙ্গে বিদেশ দফতরের আলোচনা এমনিতেই চলছে। তবে আমাদের আরও বৃহত্তর বিষয়ের দিকে তাকানো উচিত। আগামী দিনে পরিচারিকা নিয়োগের বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উঠবে।”
এরই মধ্যে দেবযানী খোবরাগাড়ের আইনজীবী ড্যানিয়েল আরশ্যাক বলেন, দেবযানীর গ্রেফতারে একটা বড় ভুল করেছেন মার্কিন তদন্তকারী অফিসার। আইনজীবীর দাবি, ওই ভুলের জেরে তদন্তপ্রক্রিয়াটাই ঘেঁটে গিয়েছে। দেবযানীর পরিচারিকা সঙ্গীতা রিচার্ডের বেতন সংক্রান্ত তথ্য জোগাড়ের সময়ে ওই ভুলটি করেছেন অফিসার। যা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয় এবং শেষ পর্যন্ত তা গড়ায় দেবযানীর গ্রেফতারিতে। আরশ্যাকের কথায়, “ভয়ঙ্কর ভুল করেছেন ওই অফিসার। তাঁর মনে হয়েছিল, ফর্মে সঙ্গীতার কাঙ্খিত বেতন সাড়ে চার হাজার ডলার লেখা রয়েছে। কিন্তু তা ছিল আমেরিকায় খোবরাগাড়ের মাসিক মূল বেতন (বেসিক স্যালারি)।” আইনজীবীর বক্তব্য, ডিএস-১৬০ ফর্মে দেবযানীর বেতন জানানো দরকার ছিল। তা সঠিক ভাবে জানানোও হয়েছিল। অনলাইনে অনভিবাসীর ভিসা আবেদনপত্রে এই তথ্য জানাতে হয়। যাতে নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের অফিসারদের বোঝানো সম্ভব হয়, যে প্রতি মাসে পরিচারিকাকে ১৫৬০ ডলার বেতন দেওয়ার পক্ষে খোবরাগাড়ের রোজগার যথেষ্ট। দেবযানী আর পরিচারিকা সঙ্গীতার মধ্যেও সেই মর্মেই চুক্তি হয়েছিল।
কিন্তু দেবযানীর বেতনকে সঙ্গীতার কাঙ্খিত বেতন ধরে নেওয়ার সেই ভুল থেকে কূটনৈতিক স্তরে বড়সড় বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেবযানীর আইনজীবী।
|
পুরনো খবর: দেবযানী গেলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে, রেহাই ব্যক্তিগত হাজিরায় |
|
|
|
|
|