সাগরে চালু হল হেলিকপ্টার পরিষেবা। রবিবার দুপুরে ছবিটি তুলেছেন দিলীপ নস্কর। |
পরিবহণ দফতর থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো প্রস্তাবে জানানো হয়, মেলার চার দিন কলকাতা থেকে ছয় পুণ্যার্থীকে হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। এক জন গাইডের সহায়তায় হেলিপ্যাড থেকে গাড়িতে করে গিয়ে তাঁরা সাগরে স্নান করবেন। সাগরতটেই থাকবে খাবারের ব্যবস্থা। স্নান-খাওয়া পর্ব মিটলে পুণ্যার্থীদের হেলিকপ্টারে কলকাতা ফিরিয়ে আনা হবে। মাথাপিছু খরচ ১৫০০ টাকা। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) তথা মেলা কমিটির চেয়ারম্যান অশোক দাস জানিয়েছেন, পরিবহণ দফতরের প্রস্তাব কার্যকর করার আগে সব দিক ভেবেচিন্তে দেখা হচ্ছে।
তবে প্রশাসনেরই কিছু কর্তা মনে করছেন, কিছু ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকছেই। জেলার এক পুলিশকর্তা বলেন, “কপ্টার দেখতে ভিড় হবেই। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এখনও সময় রয়েছে। আমরা আরও পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা যাক কী হয়।” পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র অবশ্য বলেন, “পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য পুলিশ প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে।” |
যাত্রীদের নিয়ে গঙ্গাসাগর উড়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হেলিকপ্টার। রবিবার বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে।—নিজস্ব চিত্র। |
সাগরে কপিলমুনির মন্দির থেকে কিছুটা দূরে পাঁচ নম্বর রাস্তার কাছে একটি হেলিপ্যাড রয়েছে। বছরের গোড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে যখন হেলিকপ্টারে সাগরে গিয়েছিলেন, তখন ওই হেলিপ্যাড ব্যবহার করা হয়েছিল। কপ্টার দেখতে হাজার দেড়েক লোক হেলিপ্যাডের আশপাশে ভিড় জমিয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নাজেহাল হয়। রবিবার বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে ওড়া হেলিকপ্টারটিও সেখানেই নামে। হেলিপ্যাড বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। পুলিশের হিসেবে, প্রায় সাড়ে ৩০০ মানুষ কপ্টার দেখতে ভিড় জমান।
সাগরমেলার সময়ে অবশ্য ওই হেলিপ্যাড ব্যবহার করা হবে না। জমায়েতের জেরে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় মেলাতট থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবন জনকল্যাণ বিদ্যানিকেতনের পাশের মাঠে প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে গড়া হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। কিন্তু সেখানেও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় হবে বলে মনে করছে পুলিশ। তাই মেলার সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ছাড়াও হেলিপ্যাডের ভিড় নিয়ন্ত্রণও পুলিশের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। |
(সহ প্রতিবেদন: সুনন্দ ঘোষ ও অত্রি মিত্র) |