ভাবনায় কোচবিহার, বেহালা, আসানসোল
কলকাতা-দুর্গাপুর কপ্টার চালুর আশা অগস্টেই
লকাতা ও দুর্গাপুরের মধ্যে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করতে চলেছে পবনহংস সংস্থা। এক মাস আগে, গত ২৭ জুন এক বার ‘ট্রায়াল রান’ হয়ে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, অগস্ট মাস থেকে সপ্তাহে ছ’দিন এই রুটে কপ্টারে যাতায়াত করা যাবে।
দুর্গাপুর বিমাননগরীতে যে নতুন বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে, কলকাতা থেকে উড়ে সেখানেই নামবে কপ্টার। দিল্লিতে এক বৈঠকে ঠিক হয়েছে, খুব শীঘ্রই কলকাতায় পবনহংস কর্তৃপক্ষ এবং বিমাননগরী নির্মাণকারী সংস্থা (বিএপিএল)-র মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি (মউ) সই হবে। এই মুহূর্তে কলকাতা-দুর্গাপুর রুট নিয়ে কথা এগোলেও বিএপিএল-এর ডিরেক্টর পার্থ ঘোষ বলেছেন, “কলকাতা-দুর্গাপুর-পুরুলিয়া-ধানবাদ-জামশেদপুর এই রুটে কপ্টার পরিষেবা চালু হতে পারে। আবার শুধু কলকাতা-দুর্গাপুর-ধানবাদ রুটেও কপ্টার চলতে পারে।” রাজ্যের আশা, এই পরিষেবা চালু হলে রাজ্যে শিল্প ও পর্যটন ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ আসবে। মুম্বইয়ে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাওয়ার আগে এই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন হাতিয়ার হতে পারে বলেও মনে করছেন রাজ্য সরকারের শীর্ষকর্তারা।
কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রক দেশের প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে আকাশ যোগাযোগ বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আপাতত দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মোট ১৭টি বিমানবন্দরকে চিহ্নিত করা হয়েছে এ ব্যাপারে। দুর্গাপুর বিমানবন্দর তার অন্যতম। বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ আজ এই প্রসঙ্গে বলেন, “বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির বিষয়টি কেন্দ্রীয় নীতি। যদিও রাজ্য সরকারের সহযোগিতা ছাড়া তা সফল হয় না। ১৭টি-র মধ্যে একমাত্র দুর্গাপুর বেসরকারি বিমানবন্দর। তবু শুধু আঞ্চলিক স্তরে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই বিমানবন্দরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আঞ্চলিক স্তরে আকাশ যোগাযোগ বাড়লে রাজ্যের আয়ও বাড়বে।”
দুর্গাপুরে পরীক্ষামূলক উড়ান।—নিজস্ব চিত্র
এই ১৭টি বিমানবন্দরের মধ্যে অধিকাংশই, হয় তৈরি হয়ে গিয়েছে নয়তো কাজ শেষ পর্যায়ে। কোথাও অবশ্য বিমান পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। মনমোহন সরকারের নীতি অনুযায়ী, এই বিমানবন্দরগুলিতে জ্বালানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। সাহায্য করা হবে পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রেও। এগুলির নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকার নিখরচায় বাহিনী নিয়োগ করবে। কেন্দ্র ও রাজ্য কে কতখানি সাহায্য করবে, তা ঠিক হবে আলোচনার ভিত্তিতে। এ বিষয়ে দিল্লিতে বিএপিএল-এর সঙ্গে বিমান সচিব কে এন শ্রীবাস্তবের বৈঠক হয়েছে। শ্রীবাস্তব বলেন, “দুর্গাপুর ছাড়াও কোচবিহারও রয়েছে তালিকায়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। কী কী ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে তা দু’মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।”
ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিমান ও হেলিকপ্টার চালানোর কথা ঘোষণা করেন। মাচে রাজ্যের সঙ্গে চুক্তি করে পবনহংস। চুক্তি অনুযায়ী, কলকাতা থেকে রাজ্যের অন্যত্র কপ্টার ও ছোট বিমান ছাড়াও দিঘা-তাজপুরের মতো সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটন কেন্দ্রে সি-প্লেনও চালানোর কথা। রাজ্যের কলকাতা, বাগডোগরা ছাড়া নিয়মিত ছোট বিমান চালানোর জন্য রয়েছে কোচবিহার। তৈরি হচ্ছে বেহালা এবং দুর্গাপুর। নিয়মিত হেলিকপ্টার পরিষেবার জন্য যে সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন তা এই সব বিমানবন্দরে পাওয়া সম্ভব। তাই দুর্গাপুরকে বেছে নেয় পবনহংস। হয় ট্রায়াল রান। এর পাশাপাশি রাজ্যের পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শীর্ষকর্তারা দুর্গাপুরে গিয়ে সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে আসেন।
দিল্লিতে পবনহংস ও বিএপিএল-এর কর্তাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে এ বিষয়ে। পবনহংসের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার বলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা দুর্গাপুর থেকে কপ্টার পরিষেবা শুরু করার চেষ্টা করছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠান সেরে ফেলার চেষ্টা চলছে।”
জানা গিয়েছে, এই চুক্তি অনুযায়ী, পবনহংসকে দুর্গাপুর বিমানবন্দরের পরিকাঠামো ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। বিমানবন্দরে নিজস্ব অফিস, বিপণনের দফতর খুলতে পবনহংসকে টাকা দিতে হবে না। জ্বালানি ভরার ক্ষেত্রেও আর্থিক ভাবে বিশেষ সুবিধা পাবে পবনহংস।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.