টাকার দামের পতন ঠেকাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের করা পদক্ষেপের ফল মিলল হাতেনাতে। শুক্রবার ডলারের সাপেক্ষে টাকার দর ৭ পয়সা বেড়ে পৌঁছে গেল গত এক মাসের সর্বোচ্চ অঙ্কে। বাজার বন্ধের সময় এক ডলারের দাম দাঁড়াল ৫৯.০৪ টাকা।
অন্য দিকে অবশ্য টাকার জোগান কমিয়ে তার দামে পতন রোখার অস্ত্রই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শেয়ার বাজারের উত্থানের পথে। এমনকী টাকার স্বার্থে আগামী ৩০ জুলাইয়ের ঋণনীতিতেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ বা নগদ জমার অনুপাত কমাবে না, এই আশঙ্কায় শুক্রবারও পড়েছে সেনসেক্স। গত দু’দিনের মতো। ৫৭ পয়েন্ট পড়ে এ দিন সূচক থিতু হয় ১৯,৭৪৮.১৯ অঙ্কে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীর্ষ ব্যাঙ্কের করা পদক্ষেপ অন্তত স্বল্প মেয়াদে বৃদ্ধির চাকায় গতি ফেরার পথে বাধা হতে পারে বলে প্রমাদ গুনছেন লগ্নিকারীরা। ফলে শেষ পর্যন্ত ঋণনীতিতে কী সিদ্ধান্ত হয়, তা না-দেখে নতুন করে শেয়ার কেনার পথে হাঁটতে চাইছেন না তাঁরা।
প্রসঙ্গত, টাকার দামের পতন ঠেকাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত মঙ্গলবারই রেপো খাতে ব্যাঙ্কগুলির ঋণ পাওয়ার পথ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করেছে। যা বাজারে নগদ টাকার জোগান কমাতে সাহায্য করবে। বিদেশি মুদ্রার বাজারে ফাটকাও কমাবে এই ব্যবস্থা।
আর শুক্রবার এর জেরেই টাকার দাম দিনের শুরুতে ৫৮.৬৯ ছুঁয়ে ফেলে। পরে অবশ্য আমদানিকারীরা ডলার কিনতে থাকায় তা কিছুটা নামে।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের জেরে বুধ ও বৃহস্পতিবার সূচক নেমে গিয়েছিল যথাক্রমে ২১১ ও ২৮৬ পয়েন্ট। শুক্রবারও শেয়ার দর নেমেছে মূলত সেই সমস্ত শিল্পের, যেখানে সুদের হার কমা বা বাড়ার প্রভাব পড়ে সরাসরি। যেমন, ব্যাঙ্ক, আবাসন সংস্থা ইত্যাদি।
পাশাপাশি চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার ও স্টারলাইট ইন্ডাস্ট্রিজের খারাপ আর্থিক ফলও এ দিন টেনে নামিয়েছে সূচককে। হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের মুনাফা ২৩% কমে যাওয়ায় তার শেয়ার দর নামার বড়সড় প্রভাব পড়েছে সেনসেক্সে।
এখনই বড় মাপের পতনের আশঙ্কা না করলেও বাজার ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে কিন্তু কেউই আশাবাদী নন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাজারের মৌলিক উপাদানগুলির হাল না ফিরলে শুধু সুদ কমার জন্য সূচকের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। |