|
|
|
|
রঞ্জি ট্রফি |
চূড়ান্ত যুদ্ধের আগে ড্রেসিংরুমে কোচ-ক্যাপ্টেনের ‘ভোকাল টনিক’
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রাক্তন ‘গুরু’-র টিমের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন যুদ্ধে নামার আগে বাংলা ড্রেসিংরুমে ‘ভোকাল টনিক’ আমদানি করলেন বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং কোচ অশোক মলহোত্র।
চিপকের ‘খোঁয়াড়’ পিচে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে ক্রিকেটারদের বলে দেওয়া হল, টিমের কথা ভেবে নয়। সিএবি-র জন্য নয়। গোটা বাংলার কথা ভেবে সোমবার থেকে মাঠে নামো। সম্ভব হলে জীবন বাজি রেখে ক্রিকেটটা খেলো সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের সম্মানের কথা ভেবে।
“ব্যাপারটা তো তাই। রঞ্জি ট্রফি কেন, জীবনের যে কোনও ক্ষেত্রে ভাল কিছু করতে হলে নিজেকে মোটিভেট করতে হবে। টিমকে বলেছি যে, এই যে তোমরা প্রচুর ফোন পাচ্ছ। কোনওটা পরিবারের, কোনওটা বন্ধুবান্ধবের। তার মর্যাদাটা দিও মাঠে নেমে। একটা রাজ্য তোমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে আগামী চারটে দিন। এর চেয়ে বেশি আর কী মোটিভেশন হতে পারে,” চেন্নাই থেকে ফোনে বলছিলেন বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মী। |
লক্ষ্মী-রামন: আগেকার গুরু-ছাত্র এখন শত্রু। |
যাঁকে রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার কথা ভাবতে হলে চেন্নাইয়ে হারাতে হবে ডব্লিউ ভি রামনের তামিলনাড়ুকে। যিনি গত বছর পর্যন্ত বাংলার কোচ ছিলেন, টিমেরও নাড়ি-নক্ষত্র জানেন। বাংলা অধিনায়ককে দেখা গেল রাতেও ধন্ধে ডুবে টিমের কম্বিনেশন নিয়ে। ওপেনার কৌশিক ঘোষ, নাকি বাঁ হাতি স্পিনার জিতেন্দ্র সাহুঠিক করে উঠতে পারছেন না। কৌশিক খেললে, ব্যাটিং জমাট হবে। তিনি ওপেনার। কিন্তু তাঁকে বসানো হলে অভিমন্যু ঈশ্বরণ ওপেন করতে যাবেন গীতিময় বসুর সঙ্গে। এবং বাংলা তখন মাঠে নামবে চার নয়, পাঁচ স্পিনারে। অর্থাৎ, সৌরাশিস লাহিড়ী, ইরেশ সাক্সেনা, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, অর্ণব নন্দীর সঙ্গে তখন পঞ্চম স্পিনার হিসেবে থাকবেন জিতেন্দ্র।
পিচ যা, তাতে পাঁচ স্পিনারে গেলে খুব ভুল কিছু হবে না। কারণচিপক উইকেটের দু’টো প্রান্ত এক রকম। মাঝের জায়গাটা আর এক। পিচের মধ্যবর্তী অঞ্চলে জমাট ব্যাপার আছে। কিন্তু দু’টো প্রান্ত প্রায় ঝুরঝুরে। জানা গেল, রাজস্থানের বিরুদ্ধে যে পিচে শেষ রঞ্জি ম্যাচে নেমেছিল তামিলনাড়ু, সেটাতেই বাংলার বিরুদ্ধে নামবে। কিন্তু ঘটনা হল, রাজস্থান ম্যাচ থেকেই পিচে জল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা আর চালু হয়নি। বাংলা শিবির থেকে কেউ কেউ বলছেন, ‘খোঁয়াড়’ বানিয়েও নাকি রামনকে নিশ্চিন্ত দেখাচ্ছে না। এ দিন নাকি প্র্যাকটিস সেশন শেষ হওয়ার পরেও মাঠে আবার টিম নিয়ে ঢুকে দ্বিতীয় দফার প্র্যাকটিস চালু করে দেন রামন। বাংলা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে বলা হচ্ছে, চাপটা বাংলার উপর নয়। তামিলনাড়ুর উপর। বাংলার সঙ্গে পয়েন্টের তফাত নেই। লক্ষ্মীদের মতো তামিলনাড়ুও ৭ ম্যাচে ১৮। তার উপর ঘরের মাঠে এমন অর্ডারি পিচ। উল্টোপাল্টা কিছু ঘটে গেলে যে বিপাকে রামনকে পড়তে হবে, বাংলাকে হবে না।
লক্ষ্মীরতন শুক্ল অবশ্য ও সব বিপদ-বিপর্যয়ের কথাবার্তাতেই ঢুকতে চান না। বরং খোলাখুলি বলে দিলেন, “সোমবার থেকে চিপকে বিস্ফোরণ হবে। তামিলনাড়ু নয়। বাংলার!”
সুরজের হ্যাটট্রিক: সুরজভান সিংহ-র হ্যাটট্রিক সহ ছ’উইকেটের সৌজন্যে সিএবি লিগে সুবার্বনকে (৩০০) বাইশ রানে হারাল রাজস্থান ক্লাব। ভূকৈলাসকে (২৫২) ৯ উইকেটে হারাল মোহনবাগান। জয়জিৎ বসু ১৬৪ ন:আ:। |
পুরনো খবর: লক্ষ্মীদের ফেলে দেওয়া হচ্ছে চিপকের ‘ধানখেতে’ |
|
|
|
|
|