পুলিশকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা বেড়েছিল। কিন্তু তাতেও সমস্যা মিটল না। বছর শেষের রবিবারও শান্তিনিকেতনে ‘ভাঙা মেলা’র ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হল পুলিশ-প্রশাসন। ভিড়ের ঠেলায় এ দিনও আটকে থাকতে হল দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের।
অভিযোগ, উপযুক্ত পরিকল্পনা ও পুলিশকর্মীর অভাবেই যানজটে নাভিশ্বাস হয় পর্যটকদের। এ দিন ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কথা মেনে নিয়ে বোলপুরের তৃণমূল পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত বলেন, “আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার চার দিন এবং ভাঙা মেলাতেও শহর জুড়ে আমরা স্বেচ্ছাসেবক রেখেছিলাম। কিন্তু এই বিপুল ভিড় নিয়ন্ত্রণে তা পর্যাপ্ত ছিল না।” আজ, সোমবার তাঁরা এ নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক করবেন। তাঁর আশ্বাস, “শহরের মোড়ে মোড়ে বাড়তি স্বেচ্ছাসেবক রাখার ব্যবস্থা করছি। পর্যটকদের আর ভুগতে হবে না।” |
দিনভর দুর্ভোগ।—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিনও যান নিয়ে প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাবে যে যেখানে পেরেছেন নিজেদের গাড়ি পার্ক করেছেন। তাতে সঙ্কীর্ণ রাস্তায় জট আরও বেড়েছে। অথচ গাড়ি রাখার জন্য পর্যটকদের জন্য সুনির্দিষ্ট পার্কি জোন ছিল। বোলপুরের স্টেশন মোড় থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তা তুলনায় খানিকটা যানজট মুক্ত থাকলেও চিত্রা মোড়, লজ মোড় এবং শ্রীনিকেতন মোড়ে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, শান্তিনিকেতনে মূল মেলার মাঠে ঢোকার মুখগুলিতেও নজরদারির অভাবে আস্ত পর্যটক বোঝাই বাসও ঢুকে পড়ে অহেতুক যানজট তৈরি করেছে। সবে মিলে পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দা সবাই সমস্যায় পড়েছেন। লালবাঁধের ইন্দ্রজিৎ দাসের ক্ষোভ, “প্রয়োজনীয় পুলিশ থাকলে সমস্যায় হত না।”
শান্তিনিকেতনে ট্রাস্টের সাম্মানিক সম্পাদক অনিল কোনারও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। এসপি সি সুধাকর বলেন, “ভিড় নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করা হবে।”
|