রাঁচিতে মোদীর সভা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা

২৭ ডিসেম্বর
টনায় হুংকার র‌্যালিতে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। আর সে কথা মাথায় রেখেই রাঁচিতে নরেন্দ্র মোদীর রবিবারে ‘বিজয়-সংকল্প র‌্যালি’-র জন্য গোটা শহরটাকেই কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ধীরে ধীরে মুড়ে ফেলছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। সভাস্থল থেকে শুরু করে রেল স্টেশন— সর্বত্রই কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হচ্ছে শহরের বিভিন্ন হোটেলে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হোটেলের রেজিস্ট্রারও।
পটনার ঘটনার পরে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রাজ্যের প্রশাসন। একই সঙ্গে রাজ্য বিজেপিও চাইছে সমস্ত অনুষ্ঠানটিই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে। ফলত মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে সকলেরই। রাজ্য বিজেপির সভাপতি রবীন্দ্র রাই আজ জানিয়ে দেন, “মোদীকে আমরা হেলিকপ্টারে চড়িয়ে সভাস্থলের কাছে, ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামাব। তার আগে নিজের বিমানে আমদাবাদ থেকে রাঁচি আসবেন মোদী। স্টেডিয়াম থেকে সামান্য রাস্তা তিনি গাড়িতে চেপে পৌঁছবেন সভাস্থলে। দুপুর একটার পরেই মোদীর ভাষণের সময় স্থির হয়েছে। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, সেদিন শহরে বিপুল জনসমাগম হবে। ফলে মোদী বিমানবন্দর থেকে সভাস্থলে গাড়ি চেপে গেলে রাস্তায় যেমন যানজট তৈরি হবে তেমনই মোদী যতক্ষণ রাস্তায় থাকবেন ততক্ষণ তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উত্কন্ঠায় থাকতে হবে প্রশাসনকে। সেই কারণেই তাঁকে হেলিকপ্টারে সভাস্থলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আজ হেলিকপ্টারের মহড়াও হল।
শুক্রবার নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য পুলিশ তো বটেই, মোদীর নিরাপত্তার জন্য এনআইএর গোয়েন্দারাও আজ রাঁচিতে এসে পৌঁছেছেন। একই সঙ্গে গুজরাত পুলিশের উচ্চ পদস্থ অফিসারদের একটি দলও আজ রাঁচি এসেছে। এই দলে রয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা আধিকারিকরাও। দুপুরে গুজরাত পুলিশের দলটি সভাস্থল ঘুরে দেখেন। তাঁরা জানান, মোদীর অনুষ্ঠানের দিন পর্যন্ত তাঁরা শহরেই থাকবেন। রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব কুমার জানান, “কুটে রোড -সহ সভাস্থলের পিছনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল রবিবার সকাল থেকেই দখলে নেবে ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড (এনএসজি) কম্যান্ডোরা।” তিনি বলেন, “নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক থাকবে না।” তবে রাজ্য পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, পটনায় সভার আগে রাতে সভাস্থলে কোনও পাহারা ছিল না। ফলে জঙ্গিরা সভাস্থলে খুঁটি পোঁতার গর্তে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল। এখানে রাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকছে।
আজ সভাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, খুঁটি পোঁতা হোক কিংবা মঞ্চ তৈরি— সব কাজই হচ্ছে জওয়ানদের চোখের সামনে। এমনকী মঞ্চের আশপাশে বেশিক্ষণ বহিরাগতদের দাঁড়াতেই দেওয়া হচ্ছে না। সবের পাশাপাশি সভাস্থলে নজর রাখার জন্য বসানো হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার। রাখা হচ্ছে সিসিটিভির ব্যবস্থাও। পুলিশের হিসেবে, অন্তত চার লক্ষ মানুষের সমাগম হবে মোদীর এই সভায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, রবিবার জনজোয়ারে ভাসবে রাঁচি। সাহেবগঞ্জ, চাকুলিয়া, নোয়ামুণ্ডি, দেওঘর, দুমকা আর গঢ়বা থেকে পাঁচটি ট্রেন বুক করা হয়েছে
সমর্থকদের জন্য। সব ক’টি ট্রেনই হাটিয়া পর্যন্ত আসবে। ছাড়া বাস, লরি আর নিজস্ব ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়েও মানুষ রাঁচি আসবেন। এক হাজার বাইক নিয়ে মিছিল হবে। শনিবার রাতেই অন্তত পঞ্চাশ হাজার মানুষ রাঁচি এসে পৌঁছবেন বলে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.