|
|
|
|
মোদীর সভায় ভিড় জমাতে বিলি হচ্ছে নিমন্ত্রণপত্র
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
শহর-গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে নিমন্ত্রণপত্র বিলি করছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা!
ঝাড়খণ্ডে জনসভা করতে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রীর কুর্সির ‘দাবিদারের’ কথা শুনতে উপ্চে পড়ুক সভার মাঠ— এটাই চাইছেন রাজ্যের দলীয় নেতৃত্ব। তা-ই তৈরি হয়েছে নিমন্ত্রণের ওই চিঠি।
দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, বিহারের পর এ বার ঝাড়খণ্ড আসছেন মোদী। ২৯ ডিসেম্বর রাঁচিতে তাঁর জনসভা।
চারটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসকে ‘ধরাশায়ী’ করেছে বিজেপি। সেই ফলে খুশি ঝাড়খণ্ডের প্রদেশ নেতারা। আগামী লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে দলের আসন সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তাঁরা আশাবাদী। প্রদেশ নেতৃত্বের বক্তব্য, মোদীর সফরে কর্মী-সমর্থকেরা উজ্জীবিত হবেন। মোদীর জনসভার মাঠে ভিড়ের ‘রেকর্ড’ গড়তে পারলে, বিরোধীদের অনেকটাই কোণঠাসা করে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। মোদীর পথেই ভোটের অনেক আগে থেকে প্রচার শুরুর ছক তৈরি হয়েছে।
রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষ নেতা তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা বলেন, “নিমন্ত্রণপত্র বিলি করতে ব্লক পর্যায়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটির লোকজন সে গুলি বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর কাজও শুরু করেছেন।” মুণ্ডার আশা, মোদীর সভার জেরে বিজেপি-র দিকে ঝুঁকবেন রাজ্যবাসী। তার প্রতিফলন পড়বে লোকসভা ভোটের ফলাফলে।
দলীয় সূত্রের খবর, জনসভার দিন যত এগোবে, ততই প্রচারের মাত্রা বাড়বে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে নিমন্ত্রণের চিঠি সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, মোদীর সমাবেশকে সামনে রেখে দল লোকসভার লড়াইয়ের ‘ময়দানে’ এখনই নামতে চাইছে। পৌঁছতে চাইছে রাজ্যের আরও বেশি সংখ্যাক মানুষের কাছে।
দলের রাজ্য মুখপাত্র প্রদীপ সিংহের কথায়, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্বাচনের পর তৃণমূল স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন না জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই। ভবিষ্যতে ভোট চাইতে জনতার কাছে গেলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। সে সমস্যা কাটাতেই নিমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সবার কাছে।”
বর্তমানে রাজ্যের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭টি বিজেপি-রই দখলে। বিজেপি নেতারা, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলের প্রেক্ষিতে, এখন মোদীর বিরুদ্ধে কাউকে প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে তুলে ধরতে পারছে না বিরোধীরা।
ঝাড়খণ্ডে ভোটদাতাদের মন ‘জিততে’ মোদীর সভার পর সমাবেশ করতে চাইলেও, বক্তা খুঁজতে হিমসিম হতে হবে তাঁদের। |
|
|
|
|
|