|
|
|
|
ঐক্যের দৌড়ে মোদী, লক্ষ্য লোকসভা
দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় • নয়াদিল্লি
১৩ ডিসেম্বর |
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে তিন রাজ্যে জয়। দিল্লিতেও ধরাশায়ী কংগ্রেস। এই হাওয়ায় ভর করেই পরশু, রবিবার কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী- দেশের সব শহর ও গ্রামে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির ঐক্যের ছবিটি তুলে ধরতে তাতে সামিল করা হচ্ছে দলের সব শীর্ষ নেতাকেও। প্রচারে সর্দার পটেলের মূর্তির জন্য লোহা-মাটি সংগ্রহ থেকে ঐক্যের দৌড়, রয়েছে সবই।
সঙ্ঘ ও বিজেপি নেতৃত্বের মতে, কংগ্রেস-বিরোধী হাওয়া দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এ বার লোকসভার জন্য দরকার মোদী-ঝড় তোলা। জানুয়ারির শেষ দিক থেকে মোদী নিজে প্রচারে নামবেন। তার আগে ভোটের হাওয়াকে মোদীময় করার জন্য সঙ্ঘ ও বিজেপি নেতৃত্ব আশ্রয় নিচ্ছেন সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি নির্মাণকে। আগামী রবিবার পটেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশে পাঁচশোর বেশি জায়গায় এই মূর্তি নির্মাণের জন্য লোহা ও মাটি সংগ্রহের কাজে নামছে বিজেপি। লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মোদী থাকছেন গুজরাতে। সুষমা স্বরাজ ভোপালে, অরুণ জেটলি দিল্লিতে। এ ভাবেই সব শীর্ষ নেতাকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে।
দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, এই প্রচারের লক্ষ্যই হল লোকসভা নির্বাচন। আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টির প্রায় দ্বিগুণ উচ্চতার পটেলের মূর্তির নাম মোদী দিয়েছেন স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। বিশ্বের সব চেয়ে উঁচু মূর্তির মাধ্যমে মোদী যেমন এক দিকে পটেলের উচ্চতাকেও বাড়াতে চান, অন্য দিকে নেহরু-গাঁধী পরিবারের দিকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চান। তবে লক্ষ্য এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। এই মূর্তি জন্য লোহা ও মাটি সংগ্রহ অভিযান চলবে টানা এক মাস ধরে। দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের থেকে লোহা সংগ্রহ করা হবে। ২ লক্ষ ৩৮ হাজার পঞ্চায়েত প্রধানের ছবি নেওয়া হবে। সেগুলি কোলাজ করে রাখা হবে এই মূর্তির পাশে সংগ্রহশালায়।
শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যুবকদেরও নেওয়া হচ্ছে এই অভিযানে। তাঁদের দিয়ে ‘ঐক্যের দৌড়ের’ আয়োজন করা হবে। ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষ যুবক এই দৌড়ে ভাগ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। দৌড় নিয়ে জোর প্রচার চলছে রেডিও-টিভিতে। বডোদরায় দৌড়ের নেতৃত্ব দেবেন মোদী। অন্য শহরে অন্য শীর্ষ নেতারা।
মোদীর প্রচার কৌশলের অন্যতম রূপকার অরুণ জেটলির মতে, “আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম, বিধানসভার ফল প্রকাশের পরেই মোদীর জন্য প্রচার শুরু করে দেব। এই বিধানসভা নির্বাচনে দেওয়াল লিখন স্পষ্ট, জনতা এই দেশ থেকে কংগ্রেসকে মুক্ত করতে চায়। এবং লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের একমাত্র বিকল্প বিজেপিই।”
সঙ্ঘের এক নেতার মতে, চার রাজ্যে পরাজয়ের পর সনিয়া গাঁধী কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করার কথা বলেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাহুল গাঁধীর নাম ঘোষণা করার সাহস করেননি। অথচ বিজেপি অনেক আগেই মোদীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। রাহুলের আগেই
তৈরি করতে হবে মোদীর ক্ষেত্র। সেই লক্ষ্যে দল ও সঙ্ঘকে একজোটে কাজ করানোর দায়িত্ব নিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
|
পুরনো খবর: মোদীর নামে জয়ধ্বনি, তবু রয়ে গেল প্রশ্ন
|
|
|
|
|
|