রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বাংলার প্রতিদ্বন্দী শুধু তামিলনাড়ু নয়, বরোদাও। বুধবার ইউসুফ পাঠানের (৬-৪০) অফ স্পিনের ঘূর্ণিতে সৌরাষ্ট্রকে সরাসরি হারিয়ে ছ’পয়েন্ট পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের দৌড়ে ঢুকে পড়ল কিরণ মোরে, অংশুমান গায়কোয়াড়দের রাজ্য। ফলে শেষ ম্যাচে বাংলাকে শুধু প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে তিন পয়েন্ট পেলেই চলবে না, বোর্ড সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের রাজ্যের দলকে তাদের ঘরের মাঠে সরাসরি হারাতেই হবে। বোনাস পয়েন্ট হলে আরও ভাল হয়। এ জন্য প্রয়োজনে তিন স্পিনারেও খেলতে রাজি বাংলা।
‘বি’ গ্রুপে প্রথম তিনে এখন রেলওয়েজ (২৭), উত্তর প্রদেশ (২৩) ও বরোদা (২০)। বুধবার রেলওয়েজ সরাসরি সার্ভিসেসকে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা পাকা করে ফেলল। রায়না, কাইফদের উত্তরপ্রদেশের জায়গাও প্রায় পাকা। তৃতীয় জায়গার জন্য লড়াই বরোদা, তামিলনাড়ু ও বাংলার। শেষ দুই দলেরই সমান পয়েন্ট, ১৮। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ড্র ম্যাচে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকায় এক পয়েন্ট পেল ডব্লিউ ভি রমনের দল। এই অবস্থায় তামিলনাড়ু স্পিন সহায়ক উইকেটেই শেষ ম্যাচ খেলবে বলে বাংলা শিবিরের ধারণা। সেক্ষেত্রে বাংলা তিন স্পিনারেও খেলতে পারে। বুধবার সন্ধ্যায় বরোদা ও তামিলনাড়ুর ফল জানার পর কোচ অশোক মলহোত্র বলেন, “দলে বেশি স্পিনার ঢোকাতে গিয়ে ব্যাটিংটা দুর্বল না হয়ে পড়ে, তা খেয়াল রাখতে হবে। তাই ওখানে ঘূর্ণি উইকেট দিলে সৌরাশিস, ইরেশ ছাড়াও আমরা অর্ণব নন্দীকে খেলাতে পারি।” অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লর মতে, “আমাদের দলে পাঁচজন স্পিনার আছে। সৌরাশিস, ইরেশ ছাড়াও অর্ণব, ঋত্বিক, সুদীপরাও স্পিনার। সুতরাং স্পিনার নিয়ে ভাবছি না। ওদের কুড়িটা উইকেট ফেলতে হবে, এটাই আসল কথা। সরাসরি জেতা ছাড়া কোনও উপায় নেই।” তিন পয়েন্ট পেয়েও বাংলার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা অবশ্য খাতায় কলমে রয়েছে। শেষ ম্যাচে রাজস্থান যদি নিজেদের মাঠে বরোদাকে সরাসরি হারায় এবং সৌরাষ্ট্র-সার্ভিসেস ম্যাচ ড্র হয় বা সৌরাষ্ট্র হারে, তা হলে তা সম্ভব। কিন্তু তার বাস্তব সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। বাংলার ক্যাপ্টেন অবশ্য আশাবাদী, রাজস্থান বরোদাকে হারাবে। তবে এও বলছেন, “তিন পয়েন্টের কথা ভাবছিই না। শুধুমাত্র ছ’পয়েন্ট মাথায় রেখেই মাঠে নামব।” এ দিকে দিল্লিকে বাঁচাতে পারলেন না বীরেন্দ্র সহবাগ (১২) ও গৌতম গম্ভীর (৩০)। পঞ্জাব তাদের ৯৮ রানে হারানোয় কোয়ার্টার ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেল দিল্লি।
|