রাজ্য ভাওইয়া উৎসব ঘিরে উৎসাহী হয়েছে কোচবিহার। দুই প্রবাদপ্রতিম ভাওইয়া শিল্পী আব্বাসউদ্দিন, নায়েব আলির টেপুর গ্রাম বলরামপুর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে দেওয়ানহাটে এ বার বসছে রাজ্য ভাওইয়ার আসর। ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি। উত্তরবঙ্গের শিল্পীরা তো বটেই, অসম ও বাংলাদেশ থেকে শিল্পীরা উৎসবে যোগ দেবেন। ইতিমধ্যে কয়েক দফায় আলোচনায় বসেছে রাজ্য ভাওইয়া উৎসব কমিটি। সদর মহকুমাশাসক বিকাশ সাহার তত্ত্বাবধানে একটি কার্যকরী কমিটি তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কমিটির চেয়ারম্যান তথা পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “এ বার রাজ্য ভাওইয়া উৎসবের রজতজয়ন্তী বর্ষ। অসম তো বটেই বাংলাদেশ থেকেও শিল্পীদের নিয়ে আসা হবে। স্থানীয় শিল্পীরা সকলেই আমন্ত্রণ পাবেন। সব মিলিয়ে ভাওইয়া উৎসবকে আমরা স্মরণীয় করে রাখতে উদ্যোগী হয়েছি।” কমিটির সম্পাদক কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “নানা জায়গা থেকে শিল্পীদের আনা হচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, গত বছর রাজ্য ভাওইয়ার আসর বসে শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। এ বারে রজতজয়ন্তী বর্ষে কোচবিহারে উৎসব করার দাবি উঠেছিল। তার পরেই দেওয়ানহাটে ওই উৎসবের সিদ্ধান্ত হয়। স্বাভাবিক ভাবে এই নিয়ে গ্রামে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। কার্যকরী কমিটি সূত্রের খবর, রজতজয়ন্তী বর্ষে উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ থেকে ৪ জন শিল্পীকে আনার পরিকল্পনা হয়েছে। ঢাকার ভাওইয়া শিল্পী অনিতা মুক্তি গোমস, রংপুরের ভাওইয়া শিল্পী সুরজিৎ রায় সহ ৪ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। অসম থেকে রহিমা কলিতাকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চার দিনের এই অনুষ্ঠানে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করে ভাওইয়া সঙ্গীত এবং ভাওইয়া শিল্পীদের কথা সেখানে তুলে ধরা হবে।
কমিটির আহ্বায়ক পার্থপ্রতিম রায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা চেষ্টা করছি সব দিক থেকে এই উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখার। তাই বহু শিল্পী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরাও অনেকের সঙ্গে-ই যোগাযোগ করেছি।” পাশাপাশি সাইটল, বিষহরি, কুসান, চণ্ডী নৃত্য, বৈরাতি নৃত্য পরিবেশন করবেন শিল্পীরা। ওই মঞ্চ থেকে লোক শিল্পীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে কমিটি জানিয়েছে। |