টুকরো খবর
বড়জোড়ায় ঝলসে গেলেন চার শ্রমিক
কারখানার বয়লারের গরম হাওয়ায় ঝলসে গেলেন চার ঠিকাশ্রমিক। বুধবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বড়জোড়ার ঘুটগোড়িয়া এলাকার একটি ফেরোঅ্যালয় কারখানায়। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম শ্রমিকেরা হলেন ধীরেন গরাই, রসময় ঘোষ, স্বপন ঘোষ ও ধীরেন ডাঙারিয়া। তাঁরা সকলেই ঘুটগোড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। পরে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে কারখানার বয়লারের পাশেই কাজ করছিলেন ওই ঠিকা শ্রমিকেরা। হঠাত্‌ বয়লার থেকে বেরনো তীব্র গরম হাওয়ায় তাঁরা ঝলসে যান। জখমদের দুর্গাপুরে চিকিত্‌সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরে কারখানার অন্য শ্রমিকেরা মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এর জেরে কারখানার উত্‌পাদনের কাজ সাময়িক ভাবে ব্যহত হয়। ওই কারখানার শ্রমিক মলয় কর্মকার, গণেশ মণ্ডলের অভিযোগ, “বয়লারের পাশের এলাকা টিনের পাত দিয়ে ঘিরে রাখলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না। কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।” বড়জোড়ার আইএনটিটিইউসি নেতা অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “কারখানাটিতে প্রায় ১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করার কথা কারখানা কর্তৃপক্ষের। এ নিয়ে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসব।” কারখানার ম্যানেজার শ্রীনিবাসনের দাবি, “বয়লারের চারপাশে যে যে ধরনের সুরক্ষা নেওয়ার কথা সবই এখানে রয়েছে।” তার পরেও এই ঘটনা ঘটল কেন? তাঁর জবাব, “এটা একটা দুর্ঘটনা। কী ভাবে তা ঘটল তা দেখা হচ্ছে।”

শ্রমিকের মৃত্যু, ক্ষোভ
এক ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার জেরে রঘুনাথপুরে ডিভিসি-র মূল প্রকল্পের দরজা আটকে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকরা। বুধবার সকালে দু’ঘণ্টা এই বিক্ষোভ চললেও নির্মাণ কাজ ব্যহত হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে প্রকল্প এলাকায় আবাসন তৈরির কাজ করার সময়ে উপর থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন ঠিকা শ্রমিক. তারাপদ হাঁসদা (৩২)। নিতুড়িয়া থানার গুনিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলবনা গ্রামে তাঁর বাড়ি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালে। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সন্ধ্যায় সেখানেই ওই ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই নির্মীয়মান বিদ্যুত্‌কেন্দ্রের ঠিকা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। এ দিন সকালে ডিভিসি-র ওই বিদ্যুত্‌কেন্দ্রের মূল প্রকল্পের দরজায় ওই শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে ওই বিক্ষোভে যোগ দেন অন্য শ্রমিকরাও। পরে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।

ঝালদায় বসে আঁকো
বন্যপ্রাণ দিবস পালিত হল ঝালদায়। বুধবার এই উপলক্ষ্যে স্থানীয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয়। জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামের পড়ুয়াদের বন্যপ্রাণ সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই এই প্রতিযোগিতা করা হয়। শিশু শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি বিভাগে ৯৭ জন ও চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি বিভাগে ১০২ ছবি আঁকে। তাদের অনেকেই জঙ্গলের মধ্যে হাতির পাল ঘুরে বেড়ানোর ছবি এঁকেছে। ঝালদার রেঞ্জ অফিসার সমীর বসু বলেন, “এই এলাকায় জঙ্গলের হাতি চলে আসে। এখানকার শিশু-কিশোরদের ছবিতে তাই হাতি নিয়ে সমস্যাই উঠে এসেছে।” পুরুলিয়ার এডিএফও সমীর মজুমদার ও ঝালদা ১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রাধিকা মাহাতো উপস্থিত ছিলেন।

স্কুল পড়ুয়াদের খেলা
পুরুলিয়া জেলা প্রাথমিক ও নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয় এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্র-সহ মাদ্রাসাগুলির পড়ুয়াদের নিয়ে পুরুলিয়া জেলা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হল নিতুড়িয়ার পারবেলিয়ায়। কোলিয়ারি ফুটবল ময়দানে বুধবার ওই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যর দুই মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ও স্বপন দেবনাথ, রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি। রঘুনাথপুর, মানবাজার, পুরুলিয়া, বলরামপুর ও ঝালদা এই পাঁচটি জোন থেকে জিতে আসা ২৪১ জন প্রতিযোগী ২৮টি বিভাগে যোগ দিয়েছিল।

দুর্ঘটনায় জখম
একটি গাড়ির ধাক্কায় জখম হলেন এক মোটরবাইক চালক। বুধবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়া মফস্‌সল থানার চাষসড়ক মোড়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাঁকে পুরুলিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.