মুর্শিদাবাদের পর নদিয়ায় বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এ দিন তাঁর মেজাজ ছিল আগের দিনের থেকে অনেকটাই ‘নরম’। মুর্শিদাবাদের মতো কৃষ্ণনগরের ওই বৈঠকে তিনি হুঁশিয়ারি না দিলেও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তাদের প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বলেন। সেই সঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও স্কুলগুলোতে বিডিও, মহকুমাশাসকের পাশাপাশি পুলিশকেও মিড ডে মিলের তদারকি করতে বলেন।
নদিয়ার সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একশো দিনের কাজের পাশাপাশি এই জেলা অনেক কাজ করেছে। আরও ভাল কাজ করতে হবে। আমাদের রেকর্ড আমরাই ভাঙব। ভাল কাজ করলে পুরস্কার দেব।” |
কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য। |
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নদিয়া জেলা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে প্রথম হয়েছে। বিপিএল তালিকাভূক্ত পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি ৩ শতাংশ কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে হয়ে যাবে। প্রায় চারশো কোটি টাকার ৯৯টি আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের প্রকল্পের মধ্যে ৪৫টি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে মার্চের মধ্যে। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য এই জেলায় ১৭ হাজার গাছ কাটা হয়েছিল। তার পরিবর্তে ১৩ লক্ষ গাছ লাগিয়েছে নদিয়া জেলার প্রশাসন।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবিকে খারিজ করে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সিপিএমের মেঘলাল শেখ বলেন, “আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের প্রকল্প তো আমাদের সরকারের আমলে শুরু হয়েছিল।” জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন গ্রামে গেলেই বোঝা যাবে বিদ্যুদায়নের কী হাল! আমাদের সময়ের কাজ যোগ করে এখনকার সাফল্য হিসাবে দেখানো হচ্ছে। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী যতটা কাজ হয়েছে বলে দাবি করছেন আমাদের সময়ের কাজ যোগ করেও ততটা হবে না।” এদিন দেড় ঘন্টার বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান কৃষ্ণনগরের সিএমএস হাই স্কুলের মাঠে চলা কন্যাশ্রী উৎসবে। সেখানে তিনি স্কুলের মেয়েদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান। ছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “১৮ বছরের আগে তোমরা কেউ বিয়ে করবে না। ভাল করে পড়াশুনা কর। উচ্চশিক্ষার জন্য আরও সুযোগ পাবে।”
|