|
|
|
|
বারকোড স্টিকার অমিল, রেজিস্ট্রি চিঠিতে সমস্যা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
‘বারকোড স্টিকার’ পাওয়া যাচ্ছে না দিন পনেরো হল। ফলে রেজিস্ট্রি করে ডাকযোগে চিঠি পাঠানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ডিভিশনের অধীন পোস্ট অফিসগুলিতে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে জেলা দেওয়ানি আদালত-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর, ব্যাঙ্কগুলি। বিশেষ করে বিভিন্ন মামলায় বিবাদী পক্ষের কাছে রেজিস্ট্রি ডাকে চিঠি পাঠানো বাধ্যতামূলক হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন আদালতের ল’ক্লার্করা। সমস্যার কথা স্বীকার করে তমলুক প্রধান ডাকঘরের হেড পোস্টমাস্টার শুধাংশুশেখর রায় বুধবার বলেন, “বারকোড স্টিকার সরবরাহ না থাকার ফলে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। গত সোমবার থেকে চিঠি রেজিস্ট্রি করা যাচ্ছে না। বারকোড স্টিকার চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই সুরাহা হবে।”
ডাকযোগে রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠানোর জন্য এখন ডাকবিভাগের ‘বারকোড স্টিকার’ (৯ সংখ্যার বিশেষ সাঙ্কেতিক টিকিট ) ব্যবহার বাধ্যতামূলক। হেড পোস্ট অফিস বা সাব-পোস্ট অফিসে চিঠি রেজিস্ট্রি করার সময় ডাকঘর থেকেই এই ‘বারকোড স্টিকার’ লাগানো হয়। স্টিকারের নম্বরের মাধ্যমে ওয়েবসাইট মারফত রেজিস্ট্রি চিঠির গতিবিধি জানা যায়। নির্দিষ্ট গন্তব্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত চিঠির অবস্থান জানতে পারা যায় ওই বারকোডের মাধ্যমে। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের ডাকঘরগুলিতে এই ‘বারকোড স্টিকার’ সরবরাহ না হওয়ায় রেজিস্ট্রি ডাকে চিঠি পাঠাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্পিডপোস্টে অন্যত্র চিঠি পাঠাতে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে লোকজনদের। রাজস্ব হারাচ্ছে ডাক বিভাগও। তমলুক ডিভিশনের সুপারিন্টেনডেন্ট শ্যামলকান্তি হাজরা জানান, ডাক বিভাগের পোস্টাল স্টোর ডিপো থেকে ওই বারকোড স্টিকার সরবরাহ হয়। সম্প্রতি সেখান থেকে স্টিকার না-আসায় যত সমস্যা। তমলুক ডিভিশনের অধীনে তমলুক হেড পোস্ট অফিস ছাড়াও তমলুক, হলদিয়া মহকুমার সমগ্র এলাকা ও কাঁথি, ঘাটাল মহকুমার একাংশ মিলিয়ে মোট ৬১টি সাব-পোস্ট অফিস রয়েছে। শুধুমাত্র তমলুক হেড পোস্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে ৩০০টি চিঠি রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে। বুধবার হেড পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা গেল, রেজিস্ট্রি ডাকে চিঠি পাঠাতে না পেরে বেশ কয়েকজন ফিরে যাচ্ছেন। এমনই এক জন নন্দকুমারের মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা বনমালী বেরা বলেন, ‘‘গত সাত দিনে চার বার এখানে এসেছি। আজও ঘুরে যেতে হচ্ছে।”
সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে আদালতে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ল’ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের তমলুক সিভিল ইউনিটের সম্পাদক উত্তমকুমার ভৌমিক বলেন, “জেলা ও মহকুমা আদালতের দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে বিবাদী পক্ষের কাছে ডাকযোগে চিঠি পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। তমলুক হেড-পোস্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০টি এই রকম রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠানো হয়। গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে রেজিস্ট্রি করতে না পারায় মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে।” |
|
|
|
|
|