ভারতীয় ক্রিকেটে সারা জীবনের অবদানের জন্য কপিল দেবকে কর্নেল সি কে নাইডু পুরস্কার দিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত বছর এই সম্মান পেয়েছিলেন সুনীল গাওস্কর। এ বার ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্যাপ্টেনকে এই সম্মান দিচ্ছে ভারতীয় বোর্ড। ১৯৯৪-এ এই পুরস্কার চালু হওয়ার পর ১৮তম বছরে এই সম্মান পাচ্ছেন কপিল।
১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বই কপিল দেবের ক্রিকেট জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য। সেই বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তাঁর ১৭৫-এর কালজয়ী ইনিংস কপিলের বর্ণময় মুকুটে আর এক পালক। তাঁর সেই অবিস্মরণীয় ইনিংস ভারতকে সে দিন অবধারিত হার থেকে বাঁচিয়েছিল। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস ও ক্লাইভ লয়েডের ক্যাচও নিয়েছিলেন তিনিই।
একই সঙ্গে টেস্টে পাঁচ হাজার রান ও চারশো উইকেটের মাইলফলক ছোঁওয়া কপিলের অবদান এখানেই শেষ নয়। ১৯৮৬-তে ইংল্যান্ডে গিয়ে তাদের টেস্ট সিরিজ ২-০ হারানো ভারতীয় দলেরও নেতৃত্বে ছিলেন হরিয়ানার এই জাঠ। বিপদের মুখে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ১৯৯০-এ লর্ডসে তেমনই এক কীর্তি স্থাপন করেছিলেন কপিল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফলো অন বাঁচাতে ভারতের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। উল্টোদিকে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যানকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ইংরেজ অফ স্পিনার এডি হেমিংসকে পরপর চারটি ওভার বাউন্ডারি মারেন। যদিও ইংল্যান্ড সেই ম্যাচে ২৪৭ রানে জেতে, কিন্তু কপিলের এই কীর্তি মনে রয়ে যায় সবার।
১৯৮০-৮১-তে মেলবোর্নে ঊরুতে বিপজ্জনক চোট নিয়েও পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। কপিলের সেই দুর্দান্ত বোলিং-ই ভারতকে সেই সিরিজে সমতা এনে দিয়েছিল, যা ভারতের ক্রিকেটের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। ১৯৮৬-৮৭-তে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে টাই টেস্টে তাঁর ১১৯ রানের ইনিংসের কথাও মনে রাখার মতো। এমন ঐতিহাসিক কীর্তি খুব কম ভারতীয় ক্রিকেটারের রয়েছে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.