|
|
|
|
রাঁচির জেল থেকে বেরোতেই লালুকে ফোন সনিয়ার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা
১৮ ডিসেম্বর |
জেল থেকে বেরোনর পরে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী তাঁকে ফোন করেছিলেন। খোঁজখবর নিয়েছেন তাঁর শরীরস্বাস্থ্য সর্ম্পকেও। আজ পটনা ফিরে একথা জানিয়ে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ আজ আরও একবার কংগ্রেসের সঙ্গে থেকে নরেন্দ্র মোদীর মোকাবিলা করার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, “বিহারে কংগ্রেস, আরজেডি, লোক জনশক্তি পার্টি প্রভৃতি ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে একটি মঞ্চ তৈরি করতে চাইছি।” এই মঞ্চে মালে তথা সিপিআই(এমএল)-কেও সামিল করার কথা ভেবেছেন লালু। যদিও মালের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এ সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
লালুপ্রসাদ পটনায় বলেছেন, “সিপিআইএমএলের দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের সঙ্গে মঞ্চ তৈরির ব্যাপারে কথা বলব। তিনি বলেছিলেন আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।” এর উত্তরে দীপঙ্করবাবু বলেন, “লালুপ্রসাদের জেল নিয়ে আমি বলতে চেয়েছি এই মামলায় নীতীশ কুমারেরও নাম আছে। তাকে সিবিআই ধরল না। জগন্নাথ মিশ্রকে আদালত জামিন দিল। অথচ লালুপ্রসাদকে দিল না—এ ক্ষেত্রে অন্যায় হয়েছে।” নির্বাচনী বোঝপড়ার প্রসঙ্গে দীপঙ্করবাবু বলেন, “নির্বাচন অন্য বিষয়। লালুপ্রসাদ কংগ্রেসের সঙ্গে থাকতে চান। কংগ্রেসের নীতির সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। তা ছাড়া ক্ষমতায় থাকাকালীন উনি রণবীর সেনাদের সুরক্ষা দিয়েছিলেন। সুতরাং যতক্ষণ না লালুপ্রসাদ তাঁর নীতি বদলাচ্ছেন, তত ক্ষণ তাঁর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।”
অন্য দিকে, কংগ্রেস এই মঞ্চে সামিল হবে কী না তা নিয়ে রাজ্য নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলের শীর্ষস্তর থেকে লালুর পক্ষে যাওয়ার নির্দেশ এলে তা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না বলেই জানিয়েছে রাজ্য কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, “আগে লালুর সঙ্গে বোঝাপড়া করে দলের ক্ষতি হয়েছে। কংগ্রেসকে ব্যবহার করেছে আরজেডি।” তবে অনেকের বক্তব্য, “ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলির মধ্যে ভাঙন থাকলে বিজেপির সুবিধা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই আমাদের চিন্তা করতে হবে।”
অন্য দিকে, বিজেপি ফের নরেন্দ্র মোদীকে বিহারে আরও চারটি জেলায় সভা করাতে চাইছে। জানুয়ারির শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাঁকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|