টুকরো খবর
বিস্ফোরণের দায় অস্বীকার আলফার

১৮ ডিসেম্বর
অসমের ডিব্রুগড়ে বিস্ফোরণের দায় অস্বীকার করল আলফা (স্বাধীন)। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ আমোলাপট্টি এলাকায় রেল ক্রসিং-এর কাছে বিস্ফোরণটি হয়। তাতে ১৪ বছরের স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা রজকের মৃত্যু হয়েছিল। ১৭ জন জখম হন। পুলিশ জানিয়েছিল, পরেশপন্থী আলফা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু, বুধবার পরেশপন্থী আলফা (স্বাধীন)-এর তরফে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, গত কালের বিস্ফোরণে তাদের হাত নেই। উল্টে আলফা দাবি করেছে, পুলিশের ‘পোষা এজেন্ট’রাই ওই ঘটনায় জড়িত। তাদের অভিযোগ, সব জেলার এসপি-দের আশ্রয়ে এমন ১০-১৫ জন এজেন্ট রয়েছে। তারাই পুলিশের ‘নির্দেশে’ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আলফার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র দফতরের পরিষদীয় সচিব এটোয়া মুণ্ডা ডিব্রুগড় যান। জেলাশাসক অরুণা রাজোরিয়া জানান, নিহতের পরিবারকে সরকারি নিয়মানুযায়ী ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। জরুরি সাহায্য হিসাবে তাঁদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। জখমরা পাবেন ৫ হাজার টাকা করে। তাঁদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন। ঘটনার প্রতিবাদে কয়েকটি সংগঠন বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা ডিব্রুগড় বন্ধের ডাক দিয়েছে।

তামাক বিরোধী আইন নিয়ে মতভেদ অসমে

১৮ ডিসেম্বর
তামাক বিরোধী আইন নিয়ে বিধানসভায় আইন বিভাগ বনাম স্বাস্থ্য বিভাগের কাজিয়া প্রকাশ্যে এল। এ বছর জুলাই মাসে অসম বিধানসভায় ধোঁয়াবিহীন তামাক জাতীয় জিনিস তৈরি, ক্রয়, বিক্রি, প্রচার বন্ধ করার উদ্দেশে বিল পাস করা হয়। তা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আজ বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে জানতে চান কংগ্রেস বিধায়ক জয়ন্তমল্ল বরুয়া। আইন বিভাগের তরফে জানানো হয়, বিলটি বর্তমানে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই তথ্য জেনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, “এই বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের মধ্যেই ছিল। আইন বিভাগ, আমাকে বা স্বাস্থ্য বিভাগকে কিছু না জানিয়ে বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিল কেন তা বুঝতে পারছি না।” আইন বিভাগের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে রাজ্যের আইনে কিছু তফাৎ থাকায় রাজ্যপালকে বিলটির বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। হিমন্তের যুক্তি, “দুটি আইনে বিরোধ ছিল না।” আইনমন্ত্রী টংকবাহাদুর রয় জানান, খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করবেন।

সিমডেগায় হামলার চেষ্টা

১৮ ডিসেম্বর
বড় জঙ্গি-হামলার থেকে রক্ষা পেল ঝাড়খণ্ডের সিমডেগার কোলেবিরা এলাকা। সেখানকার পেট্রোল পাম্পে প্রায় ২৫ হাজার লিটার তেল রাখা ছিল। ওই পাম্পের পাইপের উপর টাইম-বোমা রেখে দিয়েছিল পিএলএফআই জঙ্গিরা। বুধবার সকালে কর্মীরা বোমাটি দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ জানিয়েছে, পাম্পের মালিক তিলেশ্বর সাউকে নিশানা করেছে জঙ্গিরা। তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য পিএলএফআই-এর হামলায় খুন হয়েছেন। বোমার ঘড়িতে দুপুর ১২টার সময় ঠিক করে দেওয়া ছিল। খবর পেয়ে ১৪৩ নম্বর জাতীয় সড়কের ওই পাম্পে পৌঁছে যায় বোমা নিস্ক্রিয়কারী বাহিনী। দুপুর দেড়টা নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বোমাটি নষ্ট করা হয়।

মাকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলল জঙ্গি ইমতিয়াজ

১৮ ডিসেম্বর
মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে অঝোরে কেঁদে ফেলল বছর চব্বিশের যুবক। ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’ সংগঠনের ওই জঙ্গির পাশে তখন দাঁড়িয়ে এনআইএ গোয়েন্দারা। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশের জওয়ানরা। ছেলেটির নাম ইমতিয়াজ আনসারি। পটনার গাঁধী ময়দানে নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিস্ফোরণ-কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত। আজ ভোরে তদন্তের জন্য ইমতিয়াজকে পটনা থেকে রাঁচির সিঠিও বস্তিতে নিয়ে গিয়েছিল এনআইএ। ইমতিয়াজকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইমতিয়াজের পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলেকে দেখে দু’হাত এগিয়ে দিয়েছিলেন ইমতিয়াজের মা। তাঁকে জড়িয়ে ধরে নিজেকে সামলাতে পারেনি ওই আইএম জঙ্গি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিঠিও বস্তিতে পুলিশের গাড়ি ঢুকতে দেখেই ভিড় জমে যায় ইমতিয়াজের বাড়ির সামনে। তার বাবা মহম্মদ কামালুদ্দিন, মা জালিমা খাতুন বাড়ির বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। জালিমা ছেলেকে জড়িয়ে ধরতেই ইমতিয়াজ ভেঙে পড়ে। বলে, “আমি অন্যায় করেছি মা। আমাকে তোমরা ক্ষমা করো। আমি তোমাদের কোনও কাজে লাগলাম না। তোমাদের বদনাম হল।

প্যারোলে ছাড়া পেলেন মনু

১৮ ডিসেম্বর
স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় বসার জন্য সিদ্ধার্থ বশিষ্ট ওরফে মনু শর্মাকে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। তবে বিচারপতি জানিয়েছেন, মনুকে দিল্লিতেই পরীক্ষায় বসতে হবে। তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেয় আদালত। জেসিকা লাল হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত মনু যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.