|
|
|
|
ত্রিপুরায় প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গের পরে এ বার একমাত্র বাম-শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায় দলের আধিপত্য বিস্তার করতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। কয়েক মাস আগেই সে রাজ্যের বিধানসভা ভোট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আসন্ন লোকসভা ভোটে ত্রিপুরার দু’টি লোকসভা আসনের মধ্যে অন্তত একটিতে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে পুরোদস্তুর নেমে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই লক্ষ্যেই লোকসভা ভোটের আগে ত্রিপুরায় বাম সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতন, গণতন্ত্র বিপন্ন ইত্যাদি অভিযোগ তুলে তৃণমূল ব্যাপক আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাম আমলে পশ্চিমবঙ্গে ‘গণতন্ত্র বিপন্ন’ বলে দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদেরা বিক্ষোভ-অবস্থান করতেন। এখন বাংলায় জমানা বদলের পরে একই কৌশল নিয়েছে বামেরাও। সারদা-কাণ্ড এবং গণতন্ত্রের উপরে আক্রমণের অভিযোগ নিয়ে বাম সাংসদেরা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছেন, কখনও ধর্নায় বসছেন। সারা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণে ত্রিপুরা নিয়ে তৃণমূলও একই পদ্ধতি নিচ্ছে।
নদিয়ার কৃষ্ণনগরে বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় জানান, ত্রিপুরায় পুলিশের সন্ত্রাস, বাম সরকারের আমলের দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাতে এবং সেখানে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ, বৃহস্পতিবার সংসদ চত্বরে তৃণমূলের সাংসদেরা ধর্না দেবেন। এই সমস্ত দাবি নিয়েই আজ সন্ধ্যায় ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাবে। মুকুলবাবুর কথায়, “আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমরা পশ্চিমবাংলায় বাম সরকারকে সরিয়ে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি। ত্রিপুরাতেও আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার লড়াই শুরু করেছি।”
বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় সুধীররঞ্জন মজুমদার, সমীর বর্মণদের কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল ১৯৮৮-৯৩ সালে। তার পর থেকে টানা ২০ বছর ধরে সেখানে বাম শাসনই চলছে। বিশেষত, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের ‘স্বচ্ছ’ ভাবমূর্তিতে সেখানে বিরোধী দলগুলি কোণঠাসা অবস্থায় আছে। ত্রিপুরায় গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থীই দেয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে কাছাকাছি ত্রিপুরায় কেন প্রভাব বিস্তার করা যাবে না, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো সেখানেও কংগ্রেস ছেড়ে বহু নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগদান করায় দলের নেতারা উৎসাহিত হয়েছেন। দলকে উজ্জীবিত করতে আগামী বছরের গোড়ার দিকেই ত্রিপুরা সফরে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। |
|
|
|
|
|