স্নাতকোত্তর স্তরের বিভিন্ন বিভাগে সেমেস্টার চালু করে পঠনপাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় সুফল পেয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই-র নির্দেশ মেনে এ বছর থেকে বিএডেও সেমেস্টার চালু হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার বিএডের প্রথম সেমেস্টার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। লিখিত পরীক্ষা হবে জানুয়ারিতে। এই পরিস্থিতিতে বিএডের পঠনপাঠনে কী ভাবে আরও তৎপর হতে হবে, সময়ে পরীক্ষার ফল ঘোষণার উপরে কেন বাড়তি নজর দিতে হবে, কলেজ-কর্তৃপক্ষকে ডেকে তা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিএড কলেজের সংখ্যা ৩৭। এত দিন এক হাজার নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছিল। ১১ মাসের পাঠ্যক্রমকে দু’টি সেমেস্টারে ভাগ করে এ বছর থেকে পরীক্ষা হবে মোট ১৪০০ নম্বরে। অর্থাৎ নতুন ব্যবস্থায় ৪০০ নম্বর বাড়ছে। প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার ভার সংশ্লিষ্ট কলেজের হাতে থাকলেও মৌখিক নেবেন বহিরাগত পরীক্ষকেরা।
সেমেস্টার পদ্ধতিতে যে মোটেই ঢিলেঢালা ভাবে পঠনপাঠন চালানো যাবে না, সম্প্রতি বিভিন্ন বিএড কলেজের অধ্যক্ষদের বৈঠকে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ তা জানিয়ে দিয়েছেন। সময় মতো পাঠ্যক্রম শেষ করে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া তো বটেই, ১৫ দিনের মধ্যে বিএডের সেমেস্টার পরীক্ষার ফলপ্রকাশের জন্য দ্রুত খাতা দেখার কাজ শেষ করতে হবে বলেও বার্তা দিয়েছেন কর্তারা। খাতা দেখার কাজে পরীক্ষকদের গড়িমসিতে বিএডের ফল বার করতে অনেক সময় ন’-দশ মাস সময় লেগেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। তবে সম্প্রতি ‘স্পট ইভ্যালুয়েশন’ বা এক জায়গায় বসে খাতা দেখার পদ্ধতি চালু হওয়ায় ফলপ্রকাশের সময় কমে ২১ দিনে দাঁড়িয়েছে। এক কর্তা বলেন, “বার্ষিক পরীক্ষার ফল ২১ দিনে প্রকাশ করা গেলে সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফল ১৫ দিনে বার করা সম্ভব। সেটাই বলা হয়েছে বৈঠকে উপস্থিত কলেজ-প্রধানদের। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যতটা সম্ভব তৎপরতার সঙ্গে পঠনপাঠন চালাতে হবে।” |