এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে, তিনজলা থানার রায়চরণ ঘোষ লেনের একটি ফ্ল্যাট থেকে। মৃতার নাম জলি ঘোষ (৪৮)। পুলিশ জানায়, জলিদেবী ওই ফ্ল্যাটের একতলায় একাই থাকতেন। তিন-চার দিন ধরে তাঁর ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, জলিদেবীর দেহের পাশে রক্তের দাগ ছিল। তবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। এ দিনই রবীন্দ্র সরণির ফুটপাথ থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় প্রৌঢ়ের (৬০) দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, মৃতের পরনে ছিল লুঙ্গি এবং সাদা শার্ট। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এ দিকে, মঙ্গলবার রাতে কাশীপুর থানা এলাকার সৎচাষি পাড়ার একটি বাড়িতে আগুন লাগায় পুড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। মৃতার নাম মিতালি ভট্টাচার্য (৪৭)। দমকলের ২টি ইঞ্জিন দু’ঘণ্টায় আগুন নেভায়। দমকল জানায়, আগুন লাগার সময়ে ঘরেই ছিলেন মিতালিদেবী। আর জি কর হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানায়, মিতালিদেবী বাড়িতে একা থাকতেন। আগেও এক বার তিনি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন বলে জেনেছে পুলিশ। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
|
গলি থেকে বড় রাস্তার দিকে ছুটছে বছর চারেকের একটি ছেলে। পরনে স্কুল পোশাক। বুধবার সন্তোষপুর ইস্ট রোডে শিশুটিকে দেখে স্থানীয়েরাই পুলিশে জানান। পুলিশ ও স্থানীয়েরা শিশুটির বাড়ি খুঁজতে থাকে। প্রায় দু’ঘণ্টা পরে গলিতেই মাকে দেখতে পায় সে। শিশুটির মা নাজবানু জানান, মকবময়ূব মুসিফ আলম তাঁর ছোট ছেলে। সে মুকুন্দপুরের এক স্কুলে পড়ে। রোজ স্কুল থেকে ফেরার সময়ে স্কুলগাড়ির খালাসি তাকে বাড়ির দরজা পর্যন্ত দিয়ে যায়। এ দিনও গিয়েছিল। কিন্তু ছেলে ঘরে ঢোকেনি। কেন এমন করল মকব? নাজবানু বলেন, “আজ স্কুলে অভিভাবক-মিটিং ছিল। স্কুল থেকে ফেরার পথে ওর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়। গাড়ি থেকে হাত নাড়ে। ছেলে আমার স্কুলে যাওয়ার কথা জানত না। ও ভেবেছিল আমি দোকানে যাচ্ছি। তাই বড় রাস্তার দিকে ছুটে যায়।”
|
ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি গাড়ি। বুধবার, বাইপাসের ধারে এটিআই চার নম্বর গেটের কাছে। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় গাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে চালক ভয়ে গাড়ি রেখে পালান। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি জ্বলতে থাকে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই পুড়ে যায় গাড়িটি। দমকলের অনুমান, গাড়ির ব্যাটারিতে কোনও ভাবে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন।
|
গরফার কালিকাপুরে আট বছরের বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম নিকুঞ্জবিহারী বিশ্বাস। কালিকাপুরের এক মহিলা হাসপাতালে কাজ করেন। রাতের ডিউটিতে মেয়েকে পাড়ার নিকুঞ্জ ও তাঁর স্ত্রীর কাছে রেখে যেতেন। তিনি মঙ্গলবার ফিরলে মেয়ে জানায়, তার শরীরে ব্যথা। মহিলা জানতে পারেন, নিকুঞ্জ এক মাস ধরে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।
|