পড়ুয়ারা অসুস্থ, হল না পরীক্ষা
বিষাক্ত ফলের বীজ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া স্কুল পড়ুয়ারা সুস্থ হয়ে সিউড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে বুধবার দুপুরে বাড়ি ফিরল। তবে জনা পনেরো পড়ুয়া হঠাত্‌ অসুস্থ হয়ে পড়ায় বার্ষিক পরীক্ষা একদিন পিছিয়ে দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে।
ঘটনাটি বক্রেশ্বর নিম্নবুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বাদাম ভেবে মঙ্গলবার টিফিনের সময় স্কুলের পিছেনে থাকা একটি গাছের বিষাক্ত ফলের বীজ খেয়েছিল জনা কুড়ি পড়ুয়া। প্রত্যেকেরই বাড়ি দুবরাজপুর ব্লকের বক্রেশ্বর ও হরিদাসপুর গ্রামে। বাড়ি ফিরে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বেশ কয়েকজন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুরা ঘনঘন বমি ও পায়খানা করতে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অভিভাবকেরা। স্থানীয় চিকিত্‌সকদের পরামর্শ মেনে সন্ধ্যার পরই অধিকাংশ আক্রান্ত শিশুকে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতাল সুপার আসিত বিশ্বাস। বুধবার সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে অভিভাবকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, স্কুলে থাকাকালীন এতগুলি শিশু কী ভাবে ওই বিষাক্ত বীজ খেল? ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ আচার্য অবশ্য বলেন, “আমাদের আজান্তেই শিশুরা ওই বীজ খেয়েছে এবং স্কুলে থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত সকলেই সুস্থ ছিল। বুধবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে বলে সকলকেই একটু আগে ছেড়ে দিয়েছিলাম। সন্ধ্যা নাগাদ ওদের ওসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম।” কিন্তু কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল? প্রধান শিক্ষক বলেন, “প্রথমত আমাদের স্কুলটি ২ একর জায়গার উপর হলেও কোনও সীমানা প্রচীর নেই। পাশেই বক্রেশ্বর নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল। স্কুলের সীমানা ঘেঁষা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার একটি ভেষজ বাগান রয়েছে। সেখানেই ওই গাছ রয়েছে এবং গাছের বীজ যে বিষাক্ত তা জানা ছিল না। তা ছাড়া, ওই সংস্থার তারকাঁটা দিয়ে বেড়া দেওয়া সীমানার মধ্যে ঢুকে কখন কী ভাবে বাচ্চারা ওই বীজ খেয়েছে সেটা আমরা জানতেই পারিনি। এর পর থেকে আমরা সতর্ক থাকব এবং ওই সংস্থাকে সব সময় দরজায় তালা দিয়ে রাখতে অনুরোধ করব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.