উঠেছে রাস্তার তাপ্পি, দুর্ভোগ গোপালপুরে
রাস্তায় বেরোলেই ভোগান্তি নিশ্চিত।
দুর্গাপুর শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে কাঁকসার গোপালপুর। পঞ্চায়েত অফিস, সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, পানীয় জল থেকে কম্পিউটার সেন্টার, রয়েছে সবই। কিন্তু গ্রামের সঙ্গে জাতীয় সড়কের সংযোগকারী একমাত্র রাস্তাটি প্রায় এক বছর ধরে বেহাল। ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। প্রায় প্রতি দিনই বাসিন্দাদের গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে।
জাতীয় সড়কের সংযোগকারী রাস্তার এই হাল।—নিজস্ব চিত্র।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বাস। এই গ্রাম থেকে থেকেই ওই রাস্তাটি ২ নম্বর জাতীয় সড়কের রাজবাঁধ মোড়ে গিয়ে মিশেছে। সেই রাস্তা উজিয়েই রাজবাঁধ মোড়ে গিয়ে শহরে যাওয়ার বাস ধরেন বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, এই রাস্তাটি স্থানীয় রাজবাঁধ স্টেশনে যাওয়ার জন্যও একমাত্র উপায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ভর্তি যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময়ে যে কোনও সময় গাড়িগুলি দুর্ঘটনায় পড়তে পারে।
গ্রামের একটি বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কর্তা বিষ্ণুপদ সরকার বলেন, “রাজবাঁধ এলাকা থেকে বেশ কয়েক জন খুদে পড়ুয়া আমাদের স্কুলে আসে। ওই এলাকার রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা প্রায়ই ফোন করে ছেলেমেয়েরা ঠিক মতো পৌঁছেছে কি না খোঁজ নেন। স্কুল শেষে ওই পড়ুয়ারা যখন ফিরে যায়, আমাদেরও দুশ্চিন্তা থাকে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা সারাইয়ের ব্যাপারে তাঁরা প্রশাসনের কাছে অনেক বার জানিয়েছেন। কিন্তু মাঝে কিছু জোড়াতালি দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও কাজ হয়নি। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, মাঝে কিছু দিন রাস্তার উপর পাথর ও মোরামের গুঁড়ো দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সব কিছু দিনের মধ্যেই উঠে গিয়েছে। ফের প্রকট হয়ে পড়েছে খানাখন্দগুলি। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই রাস্তায় বাস চলে না। কিন্তু ট্রেকার বা অটোয় যাওয়ার সময়ে যখন-তখন বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, “এই রাস্তায় মোটরবাইক বা সাইকেল নিয়ে চলাচল করার সময়ে নিয়ন্ত্রণ রাখা বেশ কঠিন। মহিলা ও শিশুদের পক্ষে যাতায়াত করা বেশ কষ্টের।” রাজবাঁধ এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূলের দেবদাস বক্সী বলেন, “আগের বাম পরিচালিত জেলা পরিষদ ওই রাস্তাটি সারানোর বিষয়ে কোনও উদ্যোগী হয়নি। আমরা নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। তাই ওই রাস্তাটি এখনও সারাই করা যায়নি।” তবে একই সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, রাস্তাটি সারানোর জন্য তিনি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষকে জানিয়েছেন। কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.