অ্যাসেজ
ব্যাটেও ভোগাচ্ছেন জনসন
১৩ ডিসেম্বর
বোলিংয়ে তো চলতি অ্যাসেজে ইংল্যান্ড ব্যাটিং লাইন আপের কাছে মিচেল জনসন সাক্ষাৎ ত্রাস। ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদামণ্ডিত টেস্ট সিরিজ এ বার যত এগোচ্ছে, ঝুলন্ত গোঁফের জনসনের ব্যাটও যেন ততই চওড়া হয়ে উঠছে!
ব্রিসবেনে সিরিজের উদ্বোধনী ইনিংসের পর পারথে ফের চাপের মুখে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসকে স্বস্তির জায়গার সন্ধান দিচ্ছেন জনসন (৩৯ ব্যাটিং)। অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের শততম টেস্টে ওয়াকায় তাঁর দল একটা সময় ১৪৩-৫ স্কোরে ধুঁকছিল। অনেকটা উলুনগাব্বায় প্রথম টেস্টে ১৩২-৬-এর মতোই। যেখানে জনসন নেমে করেছিলেন ৬৪। শুক্রবার তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের সেই বিপজ্জনক সময়টা থেকে অস্ট্রেলিয়াকে বের করে আনার প্রারম্ভিক কৃতিত্ব অবশ্যই স্টিভ স্মিথের (১০৩ ব্যাটিং)। তার পর কৃতিত্ব উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ব্র্যাড হাডিনের (৫৫)। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে স্মিথের সঙ্গে ১২৪ রান যোগ করে হাডিন আউট হওয়ার সময়েও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস পুরোপুরি বিপন্মুক্ত ছিল না। যে কাজটা সম্পূর্ণ করেন জনসন। অসমাপ্ত সপ্তম উইকেটে স্মিথের সঙ্গে দ্রুত ৫৯ রান যোগ করে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়াকে ৩২৬-৬-এ পৌঁছে দিয়ে। সিরিজে দু’টেস্টে ১৭ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটে জনসনের চার ইনিংসে সংগ্রহ ১৪৭ রান। গড় ৭৩.৫০। অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে তিনে!

স্টিভন স্মিথ। দেশের মাঠে প্রথম সেঞ্চুরির পর। ছবি: এএফপি।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে চারশো উঁকি মারছে এবং সেটায় পৌঁছে গেলে পারথের গরম আর ওয়াকার পেস-বাউন্সের উইকেটে জনসন অ্যান্ড কোং পেস আক্রমণ সামলানো ফের কঠিন হয়ে উঠতেই পারে অ্যালিস্টার কুক বাহিনীর। শততম টেস্ট খেলতে নামা দুই যুযুধান অধিনায়কের টস-এর লড়াইয়ে কুককে হারিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই আগে ব্যাটিং নেন ক্লার্ক। কিন্তু একমাত্র ক্রিস রজার্সের (১১) রান আউট বাদে প্রথম পাঁচ উইকেটের বাকি চারটেই খুব ‘সফট্ ডিসমিসাল’ অস্ট্রেলিয়ার। জেমস অ্যান্ডারসনের চমৎকার ‘ডাইরেক্ট থ্রো’-এ রান আউট হন রজার্স। আগের দু’টেস্টেই সেঞ্চুরি করা ক্লার্ক এ দিনও চোখের নিমেষে ২৪ রানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের খেসারত দেন। স্পিনার গ্রেম সোয়ানকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে তুলতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে প্রতিদ্বন্দ্বী অধিনায়কের হাতে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে।
লাঞ্চের আগেই দিনের নায়ক স্মিথকে ক্রিজে আসতে হয়। দিনের শেষে যাঁর সম্পর্কে ক্রিকেট মিডিয়া লিখছে, ‘চব্বিশ বছরেই স্মিথ চৌত্রিশ বছরের পরিণতিবোধ দেখিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটাই করল কিনা পারথের চ্যালেঞ্জিং আবহে!’ আর হাডিন তো এলিট উইকেটকিপারদের তালিকায় ঢুকে গেলেন এ দিন। টেস্টে উপর্যুপরি চারটে ন্যূনতম ৫০ রানের ইনিংস খেলে। এহেন কীর্তিতে হাডিন ১৩৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র চতুর্থ উইকেটকিপার। এ ব্যাপারে প্রথম জন ক্লাইড ওয়ালকট সাত বছর আগে মারা গেলেও অন্য দু’জন এ দিন ওয়াকায় সশরীরে ছিলেন। এক জন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডেরই চিফ কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। অন্য জন এ দিনই আইসিসি ‘হল অব ফেম’-এ ঢোকা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।
ওয়াকার পেস-বাউন্স বন্ধুবৎসল উইকেটেও ইংল্যান্ডের প্রধান পেস ত্রয়ী অ্যান্ডারসন-ব্রড-ব্রেসনান মিলিত ভাবে মাত্র দু’উইকেট তোলায় দলের বোলিং কোচ ডেভিড সাকেরের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া, “আমাদের পেস বোলার নির্বাচন এই টেস্টে ভুল হয়েছে। ট্রেমলেট-ফিন-র‌্যানকিন, সাড়ে ছ’ফুটের বেশি তিন পেসারকেই এই পিচে দলে রাখাটা ভুল।” প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক নাসের হুসেনের খোঁচা, “যে শর্ট ডেলিভারি বিপক্ষ ব্যাটসম্যান সব বুঝতে পারছে, সে রকম শর্ট বোলিং অত বেশি করে লাভ কী হচ্ছে ইংরেজ পেসারদের?”

পুরনো খবর:






First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.