অবশেষে বিতর্ক এড়িয়ে স্থায়ী ভবন পেতে চলেছে স্কুল। টানা ১৩ বছর পরে। এত দিন স্কুল বসত আম গাছের তলায়। কোচবিহার জেলার জামালদহের খারিজা গোপালপুরের ওই স্কুল গাছতলা স্কুল নামেই বাসিন্দাদের কাছে পরিচিত ছিল। সেই গাছতলা স্কুলের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করে কাজ শুরু হল বৃহস্পতিবার। স্কুল ভবনের শিলান্যাসে এ দিন গ্রামের বাসিন্দারাও আমগাছ তলায় ভিড় করেন।
শিলান্যাস অনুষ্ঠানের পরে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার এ দিন বলেন, “জেলার ১৮১৯টি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে একমাত্র খারিজা গোপালপুর নাগরা বর্মন নেতাজি বিদ্যাপীঠের কোনও স্থায়ী ভবন ছিল না। সর্বশিক্ষা মিশন ৮ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। ওই টাকায় স্কুলের ভবন তৈরির কাজ হবে। প্রয়োজনে আরও টাকা দেওয়া হবে।” |
এ দিন স্কুল ভবন তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় সব পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় মনীন্দ্র বর্মন বলেন, “আমার ছেলে ও মেয়ে ওই স্কুলে পড়ে। গাছতলায় স্কুল বলে, বর্ষা ও গরমের সময় বেশিরভাগ দিন স্কুল বন্ধ থাকে। এত দিন পর স্কুলের স্থায়ী ভবন তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি।” আর এক অভিভাবক দীনেশ রায় বলেন, “জমি বির্তক নিয়ে মাথা ঘামাই না। স্কুল ভবন না থাকায় পড়ুয়াদের সমস্যা হত। সেটার একটা সমাধান হতে চলেছে।”
স্কুল সূত্রের খবর, একসময় এই স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১২৫ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু স্কুল ভবন না থাকায় ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে ৬৪ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। স্কুলের শিক্ষক রয়েছেন ৩ জন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সিংহ বলেন, “প্রথম দিন থেকে স্কুলে আছি। ছাত্রছাত্রীদের কষ্ট দেখে ভাল লাগত না। কিন্তু কিছু করারও ছিল না। এ বারে সে সমস্যা মিটল। বর্তমানে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শুকনো খাবার দেওয়া হয়। এ বার থেকে মিড ডে মিল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” |