টুকরো খবর
সুখিয়াপোখরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে চিকিৎসক পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা চালু করার কাজ শুরু হল দার্জিলিঙের বিজনবাড়ি হাসপাতালে। হাসপাতালের ছুটিতে থাকা চিকিৎসকও এ দিন কাজে যোগ দেন। হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় বুধবার থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ রাখার নোটিস দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। এর পরেই সুখিয়াপোখরি থেকে এক চিকিৎসককে জরুরি ভিত্তিতে বিজনবাড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৩২ শয্যার বিজনবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে ৮ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও ২ জন রয়েছেন। অক্টোবর মাসে এক চিকিৎসক মাতৃত্বকালীন ছুটি নেন। এক চিকিৎসকও গত সোমবার ছুটি নিয়ে নেওয়ায় হাসপাতাল চিকিৎসকহীন হয়ে পড়ে। সে কারণেই পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য দফতর। ঘটনাটি জেনে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে দ্রুত এক চিকিৎসককে ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি অন্য এক চিকিৎসকও এ দিন কাজে যোগ দিয়েছেন। বিজনবাড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস সরকার বলেন, “আজকে হাসপাতালের পরিষেবা মিলেছে। চিকিৎসকের কম থাকার সমস্যা জানানো হয়েছে।”জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক বলেন, “শূন্য পদগুলি দ্রুত পূরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

চোখ সারিয়ে বাড়ি ফিরল ছাত্র
বাঁশের কঞ্চির আঘাতে গুরুতর আঘাত লেগেছিল চোখে। দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের ক’দিনের সুশ্রূষায় দৃষ্টিশক্তি নিয়েই বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরল বাঘমুণ্ডির সেরেঙডি গ্রামের ছয় বছরের অসিত গরাই। তার চোখ পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সে এখন অনেকটাই বিপদ মুক্ত। ২৭ নভেম্বর স্কুলে খেলার সময় বাঁশের কঞ্চির আঘাতে তার ডান চোখের অক্ষিগোলক ফেটে যায়। অসিতের বাবা গুরুচরণ গরাইয়ের কথায়, “ওর চোখ দিয়ে গলগল করে রক্ত ঝরছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন কঞ্চির আঘাতে ছেলের চোখের অক্ষিগোলকের সাদা অংশ ফেটে গিয়ে জেলির মতো বস্তটি বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেবাশিস প্রামাণিক ও শল্য চিকিৎসক পবন মণ্ডলের চিকিৎসাতেই ছেলে চোখ ফিরে পেল।” এ দিন দুই চিকিৎসক চক্ষু পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্থ চোখর দৃষ্টি এখন ঝাপসা হলেও সে সবই দেখতে পাচ্ছে। এমনকী দূরের বস্তুও সে ঠিক দেখতে পাচ্ছে। দেবাশিসবাবু বলেন, “এখন ওকে কালো কাচের চশমা ব্যবহার করতে হবে।”

পুরনো খবর:
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিষেবার দাবি
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সুষ্ঠ পরিষেবার দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিলেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা বলতে কিছু নেই। প্রসূতি ও মুমুর্ষ রোগীদের চিকিসা পেতে ১২ কিলোমিটার দূরে কামাক্ষগুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছুটতে হয়। সমস্যা সমাধানের দাবিতে বাসিন্দারা এ বার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফ্যাক্স-বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বারবিশা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সরকারি কাগজে ‘বেডেড’ হলেও এ পর্যন্ত শয্যা চালু হয়নি। অসম সীমানার দলদলি, বারবিশা হেমাগুড়ি, ভলকা-সহ ২৫টি গ্রামের হাজার পঞ্চাশেক মানুষ এখানে আসেন। বহির্বিভাগ খোলা সকাল ১০ থেকে দুপুর ২টো। বিভাগটি চালানোর দায়িত্বে এক জন চিকিৎসক, মাঝেমধ্যে থাকেন না, ব্যস্ত থাকেন চেম্বারে। বহির্বিভাগে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন রোগী। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘চিকিৎসক যাতে দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করেন সেটা দেখা হচ্ছে। দরকারে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”

হাসপাতালের রক্ষীকে মারধর
অসময়ে ওয়ার্ডে ঢুকতে বাঁধা দেওয়ায় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের এক রক্ষীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একদল যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আরও দুই জন নিরাপত্তারক্ষী মার খান। জখম রক্ষীর নাম শিবু পাল। ঘটনার পর হাসপাতালের ৮ জন রক্ষী নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি ডাক দিয়ে সহকারী সুপারকে এক ঘণ্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ঘেরাও ওঠে। হাসপাতাল সাফাইয়ের জন্য প্রতিদিন ৮টা১১টা ওয়ার্ডে ঢোকা নিষিদ্ধ। শিবুবাবু বলেন, “জরুরি বিভাগের পাশের গেটে ছিলাম। সওয়া ১০টা নাগাদ দুজন যুবক প্রসূতি বিভাগে যেতে চান। ১১টার আগে ঢোকা যাবে না বলায় যুবক মারধর শুরু করে। দুই সহকর্মী তখন আমাকে বাঁচাতে এলে ওঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়।”

পরিষেবার উদ্বোধনে মন্ত্রী
মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ১০০ কেবি-র জেনারটের উদ্বোধন করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বৃহস্পতিবার উদ্বোধনের পরে তিনি আশ্বাস দেন, মহকুমা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক, অস্থি বিশেষজ্ঞের অভাবের কারণে যে সমস্যা হচ্ছে তা কাটানোর চেষ্টা হবে। মন্ত্রী বলেন, “সরকারি পরিষেবার উপর অসংখ্য মানুষ নির্ভরশীল, তাঁদের বেশির ভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারের। তাই সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী অগ্রাধিকার দেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে হাসপাতালে জেনারেটর-সহ পরিকাঠামোগত নানা উন্নয়নের কাজ চলছে।” সন্ধ্যায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মালবাজার বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কিছু কর্মী নাগরাকাটা ব্লক কংগ্রেস কমিটির কোষাধ্যক্ষ প্রকাশ নার্জিনারির নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

বিনামূল্যে শিবির
আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের যশোডাঙ্গা ব্লক হাসপাতালে প্রবীণ বাসিন্দাদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির হয়েছে বৃহস্পতিবার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সাতশো জন শিবিরে পরিষেবা নিয়েছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.