|
|
|
|
মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বাড়তি টাকা ফেরাল নার্সিংহোম, তদন্তের নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
বাজারে একটি ওষুধের দাম ৬৭৫ টাকা। অথচ ওই একই ওষুধ ২১০০ টাকায় রোগীদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মালদহ শহরের এক নার্সিংহোমের নামে। অভিযোগ নিয়ে জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল দফতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। দফতরের সহকারী অধিকর্তা শ্যামাপ্রসাদ দিন্দা বলেন, “অভিযোগ মারাত্মক। একই ব্যাচ নম্বর ও একই সংস্থার তৈরি ওষুধের আলাদা দাম হতে পারে না। বিষয়টি দেখছি।”
যদিও শহরের মুকদমপুরের ওই নার্সিংহোমের পক্ষে এক কর্ণধার সত্য নারায়ণ শর্মা বলেন, “নার্সিংহোমে ওই ওষুধের দোকানকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ওঁদের যোগাযোগ নেই। কেন ওযুধের দাম বেশি নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ওই দোকানের কর্ণধার অমিত শর্মা জানান, আমরা যে দামে ওযুধ কিনেছি সেই দামে ওযুধ বিক্রি করেছি। আমরা ওই রোগীর পরিবারকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপ কুমার মণ্ডল বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”
নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যারালাইসিসে আক্রান্ত মানিকচকের ভূতনির বাসিন্দা বিনয় মণ্ডলকে গত ৭ ডিসেম্বর মালদহ শহরের মুকদমপুরের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। লাগোয়া দোকান থেকেই পরিবারটি ওষুধ কেনেন। বৃহস্পতিবার নার্সিং হোমের তরফে ১৮ হাজার ১০৫ টাকার বিল ধরানো হয়। খোঁজ করার পরে ওই পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, ৬৭৫ টাকার ওষুধের দাম ২১০০ টাকা করে ধরা হয়েছে।
নার্সিংহোমে ভর্তি বিনয়বাবুর ছেলে রামচন্দ্রবাবু এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সাবিত্রী মিত্রের দ্বারস্থ হন। এক ঘণ্টার মধ্যে ওই ওযুধের দোকানের মালিক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে অতিরিক্ত ১৪ হাজার ২০০ টাকা কম করে বিল দেন। রামচন্দ্রবাবু বলেন, “মন্ত্রীর হস্তক্ষেপের জন্য আমরা এই যাত্রায় বাঁচলাম। নইলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ছাড় মিলত।” মন্ত্রী সাবিত্রী দেবী বলেন, “বিষয়টি দেখার জন্য জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।” |
|
|
|
|
|