সুন্দরবনের ‘কোর’ এলাকার দু’টি দ্বীপে পর্যটকদের যেতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বন দফতর। নেতিধোপানি ও হরিণখালি-- কোর এলাকার এই দু’টি দ্বীপে আগে পর্যটকদের যেতে দেওয়া হত না। নতুন এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি পর্যটকেরা। গত পয়লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকরী হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
ইতিমধ্যেই সুন্দরবনে পর্যটন প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বন দফতরের এই সিদ্ধান্ত তারই একটি পদক্ষেপ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকেই ওই নতুন রুট দু’টির প্রস্তাব করা হয়েছে। এক দিকে, সজনেখালি, সুবর্ণখালি ও দোকাঁকি হয়ে নেতাধোপানি ও অন্য দিকে, ঝিঙাখালি, বুড়ির ডাবরি হয়ে হরিণখালি। কোর এলাকায় যাতে বন্যপ্রাণীদের অসুবিধা না হয়, তার জন্য বিকেল ৪টে পর্যন্ত ১৩টি লঞ্চে পর্যটকদের ওই দ্বীপগুলিতে নিয়ে যাওয়া হবে। শনি রবি ও সরকারি ছুটির দিনে অবশ্য ভ্রমণ কর বাড়বে। এই দু’টি দ্বীপে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের মাথাপিছু দিতে হবে ১০০ টাকা। এই দ্বীপগুলির ক্ষেত্রে সরকার প্রতি দিন লঞ্চ থেকে ১২০০ টাকা, ভুটভুটি থেকে ৮০০ টাকা রাজস্ব আদায় করবে। গাইডের ভাড়া পড়বে ৭০০ টাকা, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১২০০ টাকা দিতে হবে। |
ছুটির দিনে পর্যটকদের মাথা পিছু ভ্রমণকর দিতে হবে ৮০ টাকা। আর ওই দিনগুলিতে সরকার প্রতিদিন লঞ্চ থেকে ৯০০ টাকা, ভুটভুটি থেকে ৬০০ টাকা আদায় করবে। গাইডের জন্য ৫৫০ টাকা দিতে হবে পর্যটকদের। সাধারণ দিনগুলিতে পূর্ব নির্ধারিত রাজস্ব হারই বজায় থাকবে। ব্যাঘ্রপ্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা সৌমিত্র দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা চাই সারা বছরই পর্যটকেরা সুন্দরবনে আসুন। তাই আমরা তাঁদের জন্য দু’টি নতুন রুট চালু করেছি। যে সব পর্যটক অগ্রিম বুকিং করেছিলেন, তাঁদের জন্য পুরনো হারেই কর ধার্য থাকবে।”
|
শ্রমিক কল্যাণে তৃণমূলই বেশি তৎপর, পূর্ণেন্দু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
বাম আমলের চেয়ে বর্তমান তৃণমূল সরকারই শ্রমিকদের কল্যাণে বেশি তৎপর বলে দাবি করলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। । বৃহস্পতিবার বসিরহাটের টাকি পুরসভার মঞ্চে নিজের দাবির সপক্ষে তিনি বলেন, “অসংগঠিত নির্মাণ শ্রমিকদের প্রকল্পে যেখানে বাম সরকার ৬ বছরে ২ লক্ষের কিছু বেশি নাম নথিভুক্ত করতে পেরেছিল সেখানে মাত্র আড়াই বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে সেখানে ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। আগের সরকার যেখানে মাত্র ১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা খরচ করতে পেরেছিল, সেখানে বর্তমান সরকার এরই মধ্যে ৭৫ কোটির বেশি টাকা খরচ করেছে।” |
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যনিধি প্রকল্পে মেয়াদ উত্তীর্ণে আগের সরকারের আমলে দেড় লক্ষ টাকা মিলত। এখন সে জায়গায় পাওয়া যাবে আড়াই লক্ষ টাকা। শ্রমমন্ত্রী বলেন, “মোটর ভ্যানরিকশাকে পুরসভা ও পঞ্চায়েতের তরফে লাইসেন্স দেওয়ার দ্রুত চেষ্টা চলছে। লাইসেন্স দেওয়া হলে ওই শ্রমিকদেরও পরিবহণ শ্রমিকের আওতায় আনা হবে।” |