প্রায় সাত একর জমির জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল সেতু চালু করতে ফের বৈঠক করল মুর্শিদাবাদ জেলাপ্রশাসন ও রেল। বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন দু’জন অনিচ্ছুক জমিদাতাও। মুকুন্দবাগ পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য তথা জমিদাতা উমেশ মণ্ডল বলেন, “জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি ওই বৈঠকে হাজির ছিলাম। আমি তো অনেক দিন আগেই জমি দিয়েছি। তখন সুদ দেওয়ার কথা বলেছিল সরকার। কিন্তু প্রশাসন এ দিন সুদের টাকা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করে রেল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর না করা পর্যন্ত চাকরির বিষয়টিও ঝুলে রয়েছে।”
‘অনিচ্ছুক’ প্রদীপ কুমার মণ্ডল ও লখাই মণ্ডলের কথায়, “সুদ-সহ জমির দাম দেওয়ার কথা বলেছিল প্রশাসন। কিন্তু এ দিন সুদ দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা জমির দাম পাচ্ছি কাঠা প্রতি ২০-২২ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী দাম না পেলে জমি দেব কিনা ভেবে দেখব।” জেলা ভূমি অধিগ্রহণ দফতরেরে বিশেষ জেলা আধিকারিক রাজকৃষ্ণ মাইতি বলেন, “জমি দিলে সুদ দেওয়ার কথা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়নি। সরকারী নিয়মানুযায়ী জমি দিলে টাকা নিলে আর কোনও সুদ দেওয়া যায় না।”
এ দিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের জেলা আধিকারিক নিরঞ্জন কুমার। তিনি বলেন, “জমিদাতা যারা দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমির দাম পাবেন, তাঁদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর এবং দু’লক্ষ টাকার বেশি পাবেন, তাঁদের আগামী ১৪ জানুয়ারি চেক বিলি করা হবে। মুকুন্দবাগ পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে ওই চেক বিলি করা হবে।” আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর জমিদাতাদের বাড়ি ঘুরে শুনানির কাজ চলবে বলেও তিনি জানান। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অধিগ্রহণ করে রাজ্য সরকার জমি হস্তান্তর করতে চায় বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
|