শেষ দুটো ম্যাচ হেরে ফাঁটল ধরতে শুরু করেছিল মেসি-হীন বার্সেলোনা সাম্রাজ্যে। ইউরোপজুড়ে প্রশ্ন ছিল একটাই— তবে কি মেসির যোগ্য উত্তরসূরি হতে সময় লাগবে নেইমারের? বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করে কিছুটা হলেও তার জবাব দিলেন বার্সেলোনার ‘ওয়ান্ডার কিড’। যার সৌজন্যে ন্যু কাম্পে সেল্টিককে ৬-১ হারিয়ে গ্রুপ এইচের শীর্ষে শেষ করল বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধের শুরুতেই জেরার্ড পিকের গোলে ১-০ এগোয় বার্সেলোনা। ৩৯ মিনিটে পেদ্রোর গোলে ব্যবধান বাড়ায় জেরার্ডো মার্টিনোর দল। যার পর থেকেই শুরু হয় ‘নেইমার-শো’। |
হ্যাটট্রিকের চুম্বন। ছবি: এএফপি। |
ব্রাজিলীয় মহাতারকার একক দাপটে ম্যাচটা এক তরফা লড়াইয়ে পরিণত হয়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে নিজের প্রথম গোলটি করেন নেইমার। বিরতির পরেই দশ মিনিটের মধ্যে বাকি দুটো গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে দ্রুততম হ্যাটট্রিকের তালিকায় চতুর্থ স্থানে চলে গেলেন নেইমার। ম্যাচের আর এক স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকল বার্সেলোনার তিকি-তাকার প্রত্যাবর্তন। ম্যাচের শেষের দিকে নিজেদের মধ্যে চল্লিশটা পাস খেলে গোল করেন পরিবর্ত ক্রিশ্চিয়ান টেলো। যে আক্রমণে শামিল ছিলেন মাসচেরানো থেকে জাভি। নেইমার থেকে আদ্রিয়ানো।
শুধু মাঠে নয়। মাঠের বাইরেও এ দিন সারা ফেলে দেন নেইমার। ম্যাচ শেষ সাংবাদিক সম্মেলনে কোনও বার্সেলোনা জার্সি বা জ্যাকেটে দেখা যায়নি নেইমারকে। বরং কোনও পপ তারকার মতোই ব্রাজিলীয় তারকা এসেছিলেন টুপি আর কোট পরে। মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন, প্রয়াত পপ কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনের স্টাইলকে। কিন্তু পোশাক প্রসঙ্গ এড়িয়ে হ্যাটট্রিক নিয়ে নেইমার বলেন, “হ্যাটট্রিক হয়েছে ঠিক আছে। তবে ম্যাচ জিততে পেরে খুব খুশি। দুটো ম্যাচ হারার পরে জয়ের স্বাদ পেয়ে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ল।” |
সাংবাদিক সম্মেলনে অভিনব পোশাকে। ন্যু কাম্পে নেইমারের রাত। ছবি সৌজন্যে টুইটার। |
এ দিন আবার নাপোলির কাছে ০-২ হেরে গ্রুপে শীর্ষে শেষ করতে পারল না আর্সেনাল। ম্যাচে গোল করেন গঞ্জালো ইগুয়াইন ও হোসে ক্যালেজোন। পাশাপাশি স্টুয়া বুখারেস্টেকে ১-০ হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে শেষ করল চেলসি। যে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বয়সে (৪১) চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক ম্যাচ খেললেন চেলসি গোলকিপার মার্ক সোয়ারজারের। |
দ্রুততম হ্যাটট্রিক
বাফেতিম্বি গোমিস (লিয়ঁ) ২০১১ বনাম ডায়নামো জাগ্রেব (৭ মিনিট)
মাইক নিওয়েল (ব্ল্যাকবার্ন) ১৯৯৫ বনাম রজেনবর্গ (৯ মিনিট)
মার্কো ফান বাস্তেন (এসি মিলান) ১৯৯২ বনাম গথেনবার্গ (১১ মিনিট)
নেইমার (বার্সেলোনা) ২০১৩ বনাম সেল্টিক (১৩ মিনিট)
|
|
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে
শেষ ষোলোয়
গ্রুপ এ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড,
বেয়ার লেভারকুসেন
গ্রুপ বি রিয়াল মাদ্রিদ, গালাতাসারে
গ্রুপ সি প্যারিস সাঁ জাঁ, অলিম্পিয়াকোস
গ্রুপ ডি বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি |
গ্রুপ ই চেলসি, শালকে
গ্রুপ এফ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, আর্সেনাল
গ্রুপ জি আটলেটিকো মাদ্রিদ,
জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ
গ্রুপ এইচ বার্সেলোনা, এসি মিলান |
|
|
|