|
|
|
|
ডিমা হাসাও-এ ধৃত জঙ্গি
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
১২ ডিসেম্বর |
‘জঙ্গি কর’ তুলতে গিয়ে পুলিশের ফাঁদে পা দিল ডিএইচডি-অ্যাকশন গোষ্ঠীর প্রধান অ্যাকশন ডিমাসা ওরফে ডেভিড কেমপ্রাই। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত মাসে সেচ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার রাজীবপ্রসাদ পাঠককে খুনের দায় স্বীকারের পর থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে ছক কষে। সম্প্রতি, ব্রডগেজ প্রকল্পের ঠিকাদারদের কাছে মোটা অঙ্কের তোলা চেয়ে চিঠি পাঠায় অ্যাকশন। তখনই তাকে ধরার পরিকল্পনা করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। পুলিশের ‘পরামর্শে’ ঠিকাদাররা ওই জঙ্গি নেতাকে জানিয়ে দেন, টাকা নিয়ে একজন নির্দিষ্ট জায়গায় যাবে। টাকার অঙ্ক অনেক বেশি বলে অ্যাকশন তার দলের কাউকে ভরসা করতে পারেনি। গতকাল নিজেই ডিমা হাসাও জেলার মাহুর থানার বড় ওয়াপু গ্রামের জঙ্গলে যায়। আগে থেকেই সাদা পোশাকের পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছিল। তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার বেদান্তমাধব রাজখোয়া জানান, ধৃত জঙ্গি নেতার কাছ থেকে একটি পিস্তল, ১০ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি এটিএম কার্ড, ১০টি ‘জঙ্গিকর’ আদায়ের দাবিপত্র-সহ অন্য জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিচারক তাকে ১০দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত চত্বরে অ্যাকশন জানায়, তাদের মূল লক্ষ্য পৃথক ডিমা হাসাও রাজ্য গঠন। বর্তমানে লামডিং, হাফলং ও ডিমাপুরের জেলে তার সংগঠনের ২০ জন সদস্য বন্দি রয়েছে। সে জেলে গেলে সবাই মিলে ওই দাবি আদায়ে আমরণ অনশন শুরু করবে।
২০০৬ সালে জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছিল অ্যাকশন। প্রথমে ছিল ডিএইচডি-জুয়েল গোষ্ঠীতে। কিছু দিনের মধ্যে সংগঠনের হাফলং আঞ্চলিক কমান্ডারের দায়িত্ব পেয়ে যায়। ২০০৭-এ শিলংয়ে গ্রেফতার হয়েছিল সে। জামিনও পেয়ে যায়। ২০১০ সালে জুয়েল গোষ্ঠীর অস্ত্রসমর্পণের পর অ্যাকশন যোগ দেয় ডিমা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টে। এ বারও ক’মাসের মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বছর দেড়েক কারাবাসের পর এই বছরের জুন মাসে হাফলং জেল থেকে পালিয়ে যায় অ্যাকশন। এরপরই সে ডিএইচডি (অ্যাকশন) সংগঠন তৈরির কথা ঘোষণা করে। ছ’মাসে প্রচুর ‘জঙ্গিকর’ আদায় এবং কয়েকজনকে অপহরণ করেছে অ্যাকশনের দলবল। ২২ নভেম্বর সেচ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার রাজীবকুমার পাঠককে অফিস থেকে বের করে গুলি করে খুন করে সে।
আজ অ্যাকশন জানিয়েছে, ওই ঘটনার সময় সে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের হয়ে এনএসসিএন (আইএম) সংগঠনের সদস্যরা খুন করেছে। জেল পালানোর বিষয়ে সে জানায়, হাফলং জেল থেকে কারও পালিয়ে যাওয়া মোটেও কষ্টকর নয়। সে বার জেল থেকে বেরিয়ে হাফলঙে বাজারও করেছিল সে। পরে, মালগাড়িতে চেপে ডিমাপুর পালিয়ে যায়। |
|
|
|
|
|