৫০০ টাকার বই কিনলে মিলবে ৫০০০ টাকার বই!
দর্শকদের বই কেনায় আরও উৎসাহী করতে এ বারের বইমেলায় এমন ব্যবস্থাই করতে চলেছে মেলার উদ্যোক্তা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। বইমেলায় প্রবেশমূল্য বন্ধ হয়েছে আগেই। ময়দান থেকে মেলা ই এম বাইপাসের ধারে চলে আসার পরে যাতায়াতের সুবিধার্থে গত দু’বছর বেশি বাসের ব্যবস্থা হয়েছিল। গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ বার বই কেনার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করতে বেশ কিছু অভিনব পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”
ত্রিদিববাবু জানান, এ বারের বইমেলায় ৫০০ বা তার বেশি মূল্যের বই কিনলে একটি লটারিতে অংশ নেওয়া যাবে। বইয়ের বিল দেখিয়ে লটারির কুপন নিতে হবে। সেগুলি মিলবে ১২টি স্টলে। রোজ সন্ধ্যায় মেলার লটারি হাউসে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। কুপনের নম্বর লটারিতে উঠলে প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটি ৫০০০ টাকার বইয়ের গিফ্ট ভাউচার মিলবে। এ ছাড়া, কয়েকশো টাকার বই কেনার সুযোগও থাকবে।
গিল্ড কর্তারা জানিয়েছেন, ই-বুকের রমরমার যুগে বই বিক্রিটা এখন একটা ‘চ্যালেঞ্জ’। ত্রিদিববাবু বলেন, “২০১২ সালে বইমেলায় বই বিক্রির হার তুলনামূলক ভাবে কম ছিল। তবে ২০১৩ সালে বিক্রির হার ভালই ছিল। আমাদের লক্ষ্য, এ বছর বই বিক্রির হারে গত বছরকেও টপকে যাওয়া।” পাশাপাশি, বইয়ের উপরে নানা ছাড়ের পরিকল্পনাও করেছে গিল্ড। এ বার বইমেলায় মিলবে ‘বুক প্রিভিলেজ কার্ড’। তার জন্য ইন্টারনেটে ‘কলকাতা বুক ফেয়ার ডট নেট’-এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
বইমেলায় ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখিয়ে ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার থেকে মিলবে বুক প্রিভিলেজ কার্ড। কার্ড দেখিয়ে কোনও একটি প্রকাশন সংস্থা থেকে ৫০০ টাকার উপরে বই কিনলে ১৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। গিল্ড কর্তৃপক্ষ জানান, বেশ কয়েক জন প্রকাশকের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়ে গিয়েছে। তাঁরা এই প্রস্তাবে রাজি তাঁরা।
নির্ধারিত সূচি মেনে এ বারের ৩৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন হচ্ছে ২৮ জানুয়ারি। উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। |