|
|
|
|
সাগর ঘোষ হত্যা মামলায় সময় চাইল রাজ্য সরকার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সাগর ঘোষ হত্যায় সিআইডি আর্জির মামলায় নিজেদের বক্তব্য জানাতে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সময় চেয়ে নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি ছিল। সরকারি আইনজীবী শাক্য সেন বলেন, “এই বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে রাজ্য সরকার আদালতের কাছে সময় চেয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তা মঞ্জুরও করেছেন।” বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে বীরভূমের পারুই থানার বাঁধ নবগ্রামে খুন হন সাগরবাবু। তাঁর ছেলে হৃদয় স্থানীয় কসবা পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী (বিক্ষুব্ধ তৃণমূল) হিসাবে লড়ছিলেন। ঘটনায় প্রথম থেকেই জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। নিহতের পুত্রবধূ শিবানী ঘোষের দায়ের করা অভিযোগে নাম রয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলেরও। নিহতের পরিবারের আরও দাবি, প্রকৃত দোষীদের না ধরে পুলিশ নিরপরাধদেরই গ্রেফতার করেছে।
সম্প্রতি ঘটনার সিআইডি তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অন্যতম তিন অভিযুক্ত নেপাল রায়, নবকৃষ্ণ রায় ও মানস রায়। তাঁদের দাবি, পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা শুরু করেছে। ঘটনার রাতেই পুলিশ যে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল, তাঁরা হলেন নিহত সাগরবাবুর নাতি, স্কুলছাত্র প্রিয়রঞ্জন ঘোষ এবং ওই গ্রামেরই বাসিন্দা নেপালবাবু, তাঁর ভাই নবকৃষ্ণ ও ছেলে মানস। তাঁদের নাম অবশ্য শিবানীদেবীর অভিযোগপত্রে ছিল না।
গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে নিহতের স্ত্রী সরস্বতী ঘোষ ঘাতকদের কয়েক জনের নাম নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি। এমনকী, সাদা খাতায় সই করিয়ে পুলিশই এফআইআর লিখেছিল বলেও তিনি দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য শোনার পরে পুলিশের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সরকারি আইনজীবী এজলাসেই স্বীকার করেছিলেন, এই ঘটনায় ‘লোভ’ কাজ করেছে। পুলিশের বিবেক নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারি আইনজীবীকে বলেছিলেন, “বাড়ি বা বাংলোর জন্য নিজের বিবেককে বিসর্জন দিতে হবে? মনে রাখবেন, এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের ধরার ক্ষেত্রে নিহতের পরিবার এখন এই মামলার দিকেই তাকিয়ে।
|
পুরনো খবর: দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কবে, প্রশ্ন কসবায় |
|
|
|
|
|