|
|
|
|
দরপত্র ছাড়াই গাছ বিক্রি অভিযোগ পঞ্চায়েতের দিকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্তেশ্বর |
গাছ বিক্রি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিও এবং বন দফতরকে পাঠানো ওই অভিযোগপত্রে সাক্ষর করেছেন তৃণমূলেরই কিছু নেতা কর্মী। মহকুমাশাসকের নির্দেশে ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
মাঝেরগ্রাম পঞ্চায়েতটি এতদিন বামেদের দখলে ছিল। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল তা দখল করার পর থেকেই নানা বিষয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠছিল। গাছ বিক্রি করা নিয়ে তা ফের প্রকাশ্যে এল।
অভিযোগপত্রে সাক্ষরকারী ২৭ জনের বেশিরভাগই এলাকায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অভিযোগকারী অধীরকুমার পাল, দীপক সামন্ত, হারু দাস, তাপস সাঁতরারা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই মেমারি-মালডাঙা রোডে মিরপুর থেকে মধ্যমগ্রাম পর্যন্ত প্রচুর সোনাঝুরি, শিশু গাছ রয়েছে। দু’কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা ওই গাছগুলির ব্যাসার্ধ আড়াই থেকে তিন ফুট। সপ্তাহ খানেক আগে এক ঠিকাদার পঞ্চায়েতের ওই গাছগুলি কাটতে শুরু করে। অভিযোগ, গোপনে দরপত্র ছাড়াই ওই গাছগুলি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। গাছগুলির আনুমানিক মূল্য ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। অথচ মাত্র পাঁচ লক্ষ টাকাতেই তা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অবিলম্বে গাছ কাটা বন্ধ করে ফের দরপত্র ডাকার আবেদন জানিয়েছেন তারা। মন্তেশ্বরের তৃণমূল নেতা বিনয় ঘোষের অভিযোগ, “পঞ্চায়েতের কোনও দরপত্রের নোটিশ দিলে সংবাদপত্রে তা প্রকাশ করতে হয়। কিন্তু সেসব না করে গোপনে এক ঠিকাদারের সঙ্গে আঁতাত করে চারগুণ কম দামে গাছগুলি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। দলেরই কয়েকজন এতে জড়িয়ে আছে।” তিনি আরও জানান, যে ঠিকাদারকে গাছ বিক্রি করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে কুসুমগ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। তখন দলই তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল।”
তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান মুঙলি হেমব্রম। তিনি বলেন, “দরপত্র ছাড়া গাছ বিক্রি করা যায় না। আমরাও করিনি। দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন।” মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সজল পাঁজার দাবি, যাবতীয় নিয়ম মেনেই গাছ বিক্রি করা হয়েছে। এক শ্রেণির মানুষ পঞ্চায়েতের গায়ে কালি লাগাতে এমন অভিযোগ করছেন। কিন্তু অভিযোগ যাঁরা করেছে তাঁরা তো তৃণমূলেরই? সজলবাবু বলেন, “অভিযোগপত্রটি এখনও দেখিনি। সেটা দেখার পরেই বুঝতে পারব কারা সাক্ষর করেছে।” তবে যে ঠিকাদার গাছ কিনেছে বলে জানা গিয়েছে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে কালনার মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেঠি জানান, অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|