|
|
|
|
আমার জীবনে একজন পুরুষ থাকলে ওর জীবনে দশ জন নারী |
উত্তেজিত শ্রাবন্তী। শুনলেন ইন্দ্রনীল রায় |
আজ আপনাদের কাছে অনেক কথাই বলতে ইচ্ছে করছে। কিছু বলছি, কিছু বলব না বলে বলছি না কারণ বিয়ে-ডিভোর্স এই ব্যাপারগুলো খুব প্রাইভেট।
প্রথমেই বলি, আমার জন্ম ১৯৮৭ সালে। যখন বিয়ে হয় ২০০৩ সালে, তখন আমার পনেরো বছর বয়স। আমাদের কোনও সোশ্যাল ম্যারেজ হয়নি। তবে বয়স বাড়িয়ে আমার বিয়ের রেজিস্ট্রি একটা হয়েছিল।
তার পর তো আমার পুরো জীবনটাই আপনারা জানেন। আমি
পাঁচ বছর বাড়িতে বসে ছিলাম।
বসে বসে মোটা হয়েছি, খ্যাতি
জলাঞ্জলি দিয়েছি, বাচ্চার মা হয়েছি। কিন্তু কোনও দিন কাউকে দোষারোপ করিনি। আমি অসম্ভব ভালবাসতাম রাজীবকে। মনে আছে, একবার আমাদের মধ্যে খুব অশান্তি হয়েছিল।
আমার মা-বাবা আমাকে নিতেও এসেছিলেন। রাজীব ওঁদের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। আমি কিন্তু তখন আমার
বরের পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম। আজ
সেই দিনগুলোর কথা ভাবলে কী রকম যেন লাগে!
তবে ভাল সময় কি কাটাইনি আমরা! ভীষণ ভাল কিছু সময় কাটিয়েছি। আমি এমনিতেই খুব ইমোশনাল। আজ সেই দিনগুলোর কথা ভাবি। কান্না পায়, কিন্তু মেনে নিয়েছি। হয়তো এটাই আমার ডেস্টিনি ছিল। |
|
আজ আমি বেঁচে আছি শুধু আমার ছেলের জন্য। আমার পৃথিবী এক দিকে, ঝিনুক এক দিকে। এবং ঝিনুকেরও তাই। ওর জন্যই কাজ করছি, ওর ভবিষ্যৎ গড়াটাই আমার ধ্যানজ্ঞান এখন।
রাজীব ঠিকই বলেছে। ওর বাবা-মা’র সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। ওঁরা আমাকে দারুণ ভালবাসতেন, আমিও তাই। সব সময় ভাল উপদেশ দিতেন আমায়। কিন্তু মা-বাবা’র সঙ্গে তো আমি সংসার করছি না। যার সঙ্গে সংসার করছি, তার সঙ্গেই যদি এত প্রবলেম হয়, তা হলে আর একসঙ্গে থেকে লাভ কি?
সেই রোজ অশান্তি। শুটিং সেরে বাড়ি ফিরতে আতঙ্ক, আমি আর পারছিলাম না জানেন!
হ্যাঁ, আমি ওকে নিয়ে ইনসিকিওর্ড ছিলাম। তার কারণ, আমি কিছু মানুষের কাছে এমন সব ব্যাপার শুনেছিলাম, তাতে কোনও মেয়ের পক্ষেই আর বিয়ের সম্পর্কে থাকা সম্ভব নয়। একটা মেয়ে সব শেয়ার করতে পারে, কিন্তু হাজব্যান্ডকে অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারে না। এবং এটাও সই, ও-ও যেমন আমাকে নিয়ে ইনসিকিওর্ড ছিল, আমিও তাই। ও-ও আফটারঅল বড় পরিচালক। এত ইনসিকিওরিটি নিয়ে কি সম্পর্ক টেকানো যায়? যায় না, জানেন। আজ আমি ছেলেকে উইকলি বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়েছি। জেমস অ্যাকাডেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটার নাম। ও শুক্রবার করে আমার কাছে আসে। ওর ওখানে গিয়ে পড়াশুনো ইমপ্রুভ করে গিয়েছে। আর সত্যি বলতে কী আমি চাইছিলাম না ওকে এই গণ্ডগোলটার মধ্যে রাখতে।
শুনলাম আমার জীবনে কোনও পুরুষ রয়েছে, এটা নাকি ওর কানে গিয়েছে। শুধু এটাই বলতে পারি আমার জীবনে একজন পুরুষ থাকলে, ওর জীবনে দশ জন নারী রয়েছে।
কিন্তু এ সব নিয়ে আমি আর
কথা বাড়াতেও চাই না। সামনে রাজীবের সঙ্গে আমার শুটিংও আছে। ডিরেক্টর হিসেবে আমি ওকে অসম্ভব রেসপেক্ট করি।
তবে ওই যে বললাম, ডিভোর্সটা বোধহয় আমাদের ডেস্টিনিতেই ছিল। তবে মানুষ হিসেবে, মেয়ে হিসেবে আমি ওর কোনও ক্ষতি চাইব না। ভাল থেকো রাজীব।
|
|
|
|
|
|