খোয়া যাওয়া কয়েক কোটি টাকার হিরের হদিস মিলল ঘটনার পাঁচ দিন পরে। গত ৭ ডিসেম্বর ভবানীপুরের মহেন্দ্র রায় রোডের একটি বহুতলের দোতলা থেকে তিনশোরও বেশি হিরের টুকরো খোয়া যায় বলে সুরাতের একটি সংস্থা অভিযোগ করেছিল। বুধবার মুম্বই থেকে ওই হিরের অধিকাংশই উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। চুরিতে জড়িত সন্দেহে পুলিশ জিগনেস ভিঞ্জি নামে এক যুবককে ধরেছে। তিনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ভবানীপুরের ওই ফ্ল্যাটে গুজরাতের ওই সংস্থার অফিস। অফিসের পাশের একটি ঘরে সন্দীপ নামে সংস্থার এক কর্মী থাকতেন। তিনিই কলকাতার ব্যবসায়ীদের কাছে হিরে বিক্রি করতেন।
পুলিশ জানায়, ২১ নভেম্বর সংস্থার তরফে কিছু হিরে সন্দীপের কাছে পাঠানো হয়। ৫ ডিসেম্বর সন্দীপ ও তাঁর বন্ধু মণীশ মহেন্দ্র রায় রোডে এক পরিচিতের বাড়িতে রাত কাটান। পরদিন সকালে সন্দীপের অফিসে ফেরার কথা ছিল। ফেরার আগেই সন্দীপকে অফিসের মালিক ফোনে জানান, অফিসের দরজা খোলা। সন্দীপ ফিরে দেখেন, হিরে উধাও। তিনি তৎক্ষণাৎ সংস্থার এক কর্তাকে ফোন করে জানান, ফ্ল্যাটের ভিতরে বিছানার তোষকের তলায় হিরেগুলি রাখা হয়েছিল। সেগুলির খোঁজ মিলছে না।
পুলিশ জানায়, ধৃত জিগনেস মণীশের পরিচিত। মণীশ সন্দীপের সহকর্মী ছিলেন। কাজ ছাড়ার পরে তিনি একাধিক বার ভবানীপুরের ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত করেছেন বলে পুলিশ জেনেছে। ৫ ডিসেম্বর রাতে মহেন্দ্র রায় রোডের এক অতিথিশালায় ওঠেন জিগনেস। পুলিশের সন্দেহ, দীর্ঘ দিন যাতায়াতের সুবাদে মণীশ জানতেন, সন্দীপের অফিসে কী ভাবে ঢুকতে হয়। পুলিশের আরও সন্দেহ, জিগনেসকে দিয়ে সন্দীপের অফিসঘরের নকল চাবি বানিয়েছিলেন মণীশ। তিনি জানতেন, সন্দীপ তাঁর শোওয়ার ঘরের বিছানার নীচে হিরেগুলি রেখেছেন। ৫ ডিসেম্বর রাত থেকে ৬ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে হিরেগুলি চুরি যায় বলে পুলিশের অনুমান। সন্দীপ ও মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না। জিগনেসকে জেরা করলে আরও তথ্য মিলবে।”
|