শর্ট স্ট্রিটে জমি দখল নিয়ে হামলার ঠিক এক মাসের মাথায় আরও এক অভিযুক্তকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সামির রিয়াজ নামে ওই অভিযুক্ত জগদ্দলের বাসিন্দা। তিনি ব্যারাকপুর আদালতের আইনজীবী।
তদন্তকারীরা জানান, গত সপ্তাহে বারাণসীতে রিয়াজের শ্বশুরবাড়িতে হানা দিয়েও তাঁর খোঁজ মেলেনি। তার আগে ভাটপাড়ার বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি তাঁকে। এ দিন দুপুরে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সামনে ঘোরাফেরা করছিলেন রিয়াজ। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অনধিকার প্রবেশের মামলা হয়েছে।
রিয়াজ একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ‘রিকভারি এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করতেন বলে জানায় পুলিশ। তারা বলছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রিয়াজই ২০-২১ জন লোক নিয়ে ৯এ শর্ট স্ট্রিটের স্কুলবাড়িতে হামলা চালান। শর্ট স্ট্রিট কাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত পিনাকেশ দত্ত জমি দখলের জন্য তাঁকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে পুলিশের অভিযোগ। তারা জানাচ্ছে, বিতর্কিত জমিতে থাকা স্কুলে চড়াও হয়ে সেখানকার অন্যতম বাসিন্দা রতনলাল নাহাটার লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলভার লুঠ করেন রিয়াজ।
পুলিশ জানায়, শর্ট স্ট্রিটে ১১ নভেম্বরের হামলায় রিয়াজের সরাসরি যুক্ত থাকার সূত্র মেলেনি। তবে সে-দিন কী ঘটতে চলেছে এবং কী ঘটেছিল, তা তাঁর জানা ছিল। পুলিশের অনুমান, সেপ্টেম্বরে জমি দখলের জন্য পিনাকেশের কাছ থেকে রিয়াজ যে-টাকা নেন, তা ১১ নভেম্বরের হামলায় লাগানো হয়ে থাকতে পারে। এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত পরাগ মজমুদার দেড় কোটি টাকা দেন পিনাকেশকে। পুলিশ তার হিসেব মেলাতে পারেনি। তাদের ধারণা, রিয়াজকে জেরা করলেই জানা যাবে, জমি দখল করে দেওয়ার জন্য তিনি নিজে কত টাকা নেন। তাঁকে জেরা করে নাহাটার ছিনতাই হওয়া রিভলভারেরও হদিস পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
রিয়াজকে নিয়ে ঘটনায় ১৭ জন অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ। অন্যতম অভিযুক্ত পরাগ এ দিনই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালুর জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আর্জি জানান। তাঁর আবেদন, পুলিশ তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট বন্ধ করায় তাঁর ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। সরকারি আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পরাগের আরও দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। বিচারপতি আজ, বৃহস্পতিবার দু’টি অ্যাকাউন্টের নথি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
|