আগেই গ্রেফতার হয়েছেন এক আইনজীবী। শর্ট স্ট্রিট কাণ্ডে আবার উঠে এল অন্য এক আইনজীবীর নাম! বৃহস্পতিবার নৈহাটি ভাটপাড়ায় ওই আইনজীবীর বাড়িতে হানা দেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তবে সেখানে তাঁর খোঁজ মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের দাবি, ১৫ সেপ্টেম্বর সমীর রিয়াজ নামে ওই আইনজীবী দলবল নিয়ে ৯এ শর্ট স্ট্রিটের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন। হামলার অন্যতম চক্রী বলে অভিযুক্ত পিনাকেশ দত্তের মাধ্যমে জমি-বাড়ির কারবারি পরাগ মজমুদারই নিয়োগ করেছিলেন সমীরকে। এর জন্য তাঁকে ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে। ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে জনা কুড়ি যুবক ৯এ শর্ট স্ট্রিটের ওই বাড়িতে হানা দেন। অভিযোগ, ওই জমিতে বসবাসকারী সম্পত্তির কারবারি রতনলাল নাহাটাকে মারধর করে তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক ছিনতাই করা হয়। শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। ১১ নভেম্বর ভোরে শর্ট স্ট্রিটের ওই বাড়িতে ফের হামলা চালানো হয়। গুলিতে মারা যান জমি দখল করতে আসা দুই ‘বাউন্সার’।
১৫ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় পিনাকেশ ও পরাগকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। রিয়াজকে নিয়োগের কথা পিনাকেশই পুলিশকে জানান। লালবাজারের কর্তাদের দাবি, শর্ট স্ট্রিটের ওই জমি দখলের জন্য পিনাকেশকে প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়েছিলেন পরাগ। তা থেকেই তিনি অগস্টে সমীরকে টাকা দিয়েছিলেন বলে পিনাকেশ পুলিশকে জানান। পিনাকেশের লকারে ৮২ লক্ষ টাকা পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এক শীর্ষ পুলিশকর্তা জানান, সমীরকে ধরতে পারলে বাকি টাকার খোঁজ মিলতে পারে। ১৫ সেপ্টেম্বরের হামলায় আর কারা ছিল, জানা যেতে পারে তা-ও।
শর্ট স্ট্রিট কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত, নিরাপত্তা সংস্থার কর্ণধার অরূপ দেবনাথকে ধরা যায়নি। ধরা যায়নি ফারহান নামে নাহাটার আর এক ঘনিষ্ঠকেও। পুলিশ বলছে, জমি দখলের চক্র কী ভাবে শহরের নানা প্রান্তে জাল ছড়িয়েছে, তার অনেকটাই জানা গিয়েছে। অরূপ ও ফারহানকে ধরতে পারলে চক্রের আরও কয়েক জন চাঁইয়ের নাম উঠে আসতে পারে। |