পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে ধর্ষিতার অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে অনুসরণ করছে বলে অভিযোগ তুললেন পার্ক স্ট্রিট-কাণ্ডের নিগৃহীতা। এ বিষয়ে তিনি বৃহস্পতিবার পর্ণশ্রী থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। ওই মহিলার অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে রোজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তাঁর বাড়ির সামনে সাদা রঙের একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। ভিতরে চালক ছাড়াও থাকেন এক ব্যক্তি। গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মহিলা যখন দোকানে যাচ্ছিলেন, তখন ওই ব্যক্তি তাঁর পিছু নেয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, ওই রাতে তিনি এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ট্যাক্সিতে বাড়ি ফেরার পরে ট্যাক্সির সামনে এসে দাঁড়ায় সাদা গাড়িটি। মহিলা বলেন, “প্রতিবাদ করায় গাড়ির ভিতরে থাকা ব্যক্তি বাজে ভাবে তাকিয়ে বাংলায় কী সব বলে গাড়িটি সরিয়ে নেয়।” অভিযোগ, এর পরে দুধ কিনতে বেরোলে ওই লোকটি মহিলার পিছু নিয়ে দোকান পর্যন্ত যায়। পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কাদের খান এখনও বেপাত্তা। তার বিষয়ে ইতিমধ্যেই ইন্টারপোল নোটিস জারি করেছে। আদালতে মামলাও চলছে। ওই নিগৃহীতা বলেন, “এ সবের মধ্যে ওই ব্যক্তির নজরদারি ভয়ের বিষয় হয়ে উঠেছে।” লালবাজারের এক কর্তা বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুরনো খবর: ধর্ষিতার সঙ্গে অসহযোগিতা,
অভিযুক্ত পুলিশ
|
তিনটি দুর্ঘটনায় মৃত দুই ব্যক্তি |
তিনটি পৃথক পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। আহত আরও এক। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার রোডের শীলপাড়ায় বাসে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। তাঁর নাম শুভজিত্ আদক (১৯)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার শ্রীকৃষ্ণপুরে। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন তিনি। ফেরার পথে বাসে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান। তখনই বাসের চাকা তাঁকে পিষে দেয়। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ দিনই বৌবাজার থানা এলাকার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের (৬০)। রাত পর্যন্ত মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। অন্য দিকে, রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে রেষারেষির জেরে দু’টি বাসের মধ্যে পড়ে জখম হন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি (৫০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানিয়েছে, বাস দু’টি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের দিক থেকে রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের দিকে যাচ্ছিল। |